ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মৈত্রীতে এবার ওঠার সময়েই কাস্টমস-ইমিগ্রেশন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
মৈত্রীতে এবার ওঠার সময়েই কাস্টমস-ইমিগ্রেশন মৈত্রী এক্সপ্রেস। ফাইল ফটো

ঢাকা: মৈত্রী এক্সপ্রেসে চেপে কলকাতায় যেতে দর্শনা-গেদে সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারতের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের হ্যাপা এবার শেষ হয়ে যাচ্ছে। আসছে ১ আগস্ট থেকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে মৈত্রীতে সওয়ার হওয়ার সময়েই সেরে নেওয়া হবে অবশ্য পালনীয় এই আনুষ্ঠানিকতা। আর ভারতীয় অংশের ছিল-ছাপ্পল মারার কাজ হবে কলকাতায়, চিৎপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার পর।    

এর ফলে যাত্রাপথে অহেতুক বিড়ম্বনার খাঁড়া থেকে যেমন বাঁচা যাবে, তেমনি ট্রাভেল টাইম কমে যাবে অন্তত ঘণ্টা তিনেক।

মাঝে ঈশ্বরদীতে পানি পাল্টানোর জন্য মিনিট পনেরো সময় আর দর্শনা-গেদে সীমান্তে বিদ্যু‍ৎচালিত ইঞ্জিন সংযোজনের সময় ছাড়া পুরো পথে নন স্টপই চলাচল করবে মৈত্রী-১।

    

২০০৮ সালের পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সরাসরি যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরুর পর সর্বশেষ গত ১২ নভেম্বর চতুর্থ ট্রেনটি উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে ঢাকা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে ৪ দিন চলছে মৈত্রী। ট্রেনটি ঢাকা থেকে সপ্তাহের রবি, বুধ, শুক্র ও শনিবার কলকাতায় যায়। আর সোম, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার ঢাকার উদ্দেশে কলকাতা ছেড়ে আসে।     

এ ট্রেনের যাত্রীদের বরাবরই দাবি ছিল- দু’দেশের কাস্টমস-ইমিগ্রেশন রেলের মধ্যে সারা হোক। যেমনটি ছিল খুলনা-কলকাতা এবং গোয়ালন্দ-কলকাতা রেল যাত্রায়। ব্রিটিশ শাসনামলে চালু হওয়া এ দু’রুটের রেল যোগাযোগ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়।

তার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারতের ৬টি সীমান্ত দিয়ে রেল যোগাযোগ চালু ছিল। দার্জিলিং মেইল তখন পার্বতীপুর হয়ে শিলিগুড়ি যেতো। চালু ছিলো রাধিকাপুর-বিরল লাইন। বন্ধ হয়ে যাওয়া সেসব রুট ফের চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে উভয় দেশ।

চালুর পর প্রথম দিকে মৈত্রীতে যাত্রী সংকট দেখা দিলেও এখন টিকিট পাওয়াই দায় হয়ে উঠেছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তাই বাড়ানো হয়েছে আসন ও ট্রেনের সংখ্যা। এখন সপ্তাহের প্রতিদিনই ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচলের দাবি উঠেছে।  

ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় চারশ’ কিলোমিটার। ভাড়া আদায়যোগ্য দূরত্ব ৫৭০ কিলোমিটার। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনে এখন ভ্যাট ও বাংলাদেশ অংশে ৫০০ টাকা ভ্রমণ করসহ চেয়ার কোচের ভাড়া ১ হাজার ৬৩৩ টাকা। কেবিন আসনের ভাড়া ২ হাজার ৩০০ টাকা। ভারতীয় অংশে কোনো ভ্রমণ ট্যাক্স নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এসএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।