ফাঁকা রাজধানীতে জনমানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঈদের সময় নগরীর বেশিরভাগ লোক গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ায় রাজধানী অনেকটাই নির্জন থাকে।
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা নগরীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বিতভাবে কাজ করছে র্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
এসব অপরাধী চক্র যাতে তাদের অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য রাজধানীর প্রায় প্রতিটি মোড় ও সড়কেই থাকছে র্যাব-পুলিশের একাধিক টহল টিম।
ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঈদের ছুটিতে রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা থাকে। এই সময় যেন অপরাধীরা অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য রাজধানী জুড়ে থাকছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে থাকছে র্যাব-পুলিশের চেকপোস্ট। বিভিন্ন মহল্লায় থাকবে পুলিশের একাধিক টহল টিম।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এবার রাজধানীতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা বা অপরাধ ঘটবে না বলে আশা করেন তিনি।
ঈদের ছুটিতে নগরবাসীর নিরাপত্তা দিতে রাজধানী জুড়েই র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও পাড়া মহল্লায় র্যাবের একাধিক টহল টিম নিয়োজিত থাকবে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ঈদের ছুটিতে ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকায় অনেকেই এটিএম বুথে টাকা তুলতে যায়। সেখানে যেন কেউ অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হয় সেজন্য রাজধানীর বিভিন্ন বুথের সামনে ও আশপাশে থাকবে পোশাকে ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, ঈদে খুবই স্বল্প সময়ে বেশিরভাগ মানুষ ঢাকা ত্যাগ করবে। এ সময় রাজধানীর ১৫ থেকে ২০ লাখ বাড়ি খালি হবে। বেশিরভাগ বিপণি বিতান বন্ধ থাকবে। ফাঁকা হয়ে যাওয়া রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
একই সঙ্গে নগরবাসীকেও সচেতন হওয়ার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৪ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এসজেএ/আরআই