মধ্যরাতে এ মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ সদস্যরাও তৎপর থাকায় দীর্ঘ কোন যানজট তৈরি হয়নি।
শনিবার (২৪ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মহাসড়কের বাইপাস পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেলো এমন চিত্র।
চারলেনের ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর বাইপাস মোড়ে ঢাকামুখী অংশে যান চলছে স্বাভাবিকভাবেই। তবে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ নগরীর এ প্রবেশ পথে যেন থমকে আছে যানবাহনের চাকা। এখানকার পাটগুদাম ব্রিজ মোড় অংশের বাইপাস সড়কের মাথায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের এ যানজট ছাড়াতে গলদঘর্ম হতে দেখা গেছে। তাদের তৎপরতার কারণে থেমে থেমে চলছিল যানবাহন। এ অংশ দিয়েই নেত্রকোণা, শেরপুর, জামালপুরসহ আরো কয়েকটি জেলার যানবাহন চলাচল করে।
তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এ পয়েন্টে যানজট তুলনামূলক কম হয়েছে বলে মনে করেন যাত্রীরা।
ঢাকা থেকে নেত্রকোণার উদ্দেশ্যে আসা একটি বাসের চালক বাংলানিউজকে জানান, এবার এ মহাসড়কে খুব একটা যানজট হয়নি। শুধু মহাসড়কের বাইপাস অংশে ধীরগতিতে যানবাহন চলছে। এবার যানজটের ভোগান্তি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
মধ্যরাতের এ সময়টাতে হঠাৎ শুরু হয় ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি। একটি পিকআপে সেই বৃষ্টিতে জবুথবু হয়ে গ্রামের বাড়ি শেরপুরে যাচ্ছিলেন গার্মেন্টস কর্মী রেহেনা ও সিদ্দিকুর।
তারা জানান, অন্যান্য বার মহাসড়কের ময়মনসিংহের সীমানায় পৌঁছাতেই ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এবার তা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
তাদের সঙ্গে আলাপের সময়েই ক’হাত দূরেই কথা বলছিলেন এক সিএনজি অটোরিকশা চালক। এক যাত্রীকে তিনি বললেন, অন্যান্যবার তো অবস্থা থাকে দফারফা। এবার তো বাইচ্চা গেছেন তেমন জ্যাম নাই। ’
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ‘ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়ক সচল রাখতে পুলিশ সদস্যরা রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এ কারণেই মানুষ নির্বিঘ্নে স্বজনদের কাছে ফিরতে পারছেন। যে অংশে ধীর গতিতে যান চলছে সেটা ভোর ৬ টার মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এমএএএম/আরআই