এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৬ জন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় হাজীপুর গ্রামে বাড়ির ভেতর অবস্থিত একটি যৌথ পুকুরে হাড়ি বাসন ধোয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে বাচ্চাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর বাড়ির মহিলাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
আহতরা হলো আরবেস আলী,ওয়াইছ আলী,আজমত আলীসহ আরও ৩জন। মৃত আরিফের পিতা আরবেস আলী বাংলানিউজকে বলেন তার ছেলেকে আব্দুল খালিক,আব্দুল খালেদ ,ফয়ছল,সজ্জাদ মিলে মেরেছে। তাদের সঙ্গে আরও লোক ছিলো।
মৃতের দাদা আব্দুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন,বাচ্চাদের কথাকাটি থেকে ইফতারের পর ঝগড়া শুরু হয়। পরে মনির মিয়ার নেতৃত্বে বেশ কিছু লোকজন এসে মারামারি শুরু করে। তিনি বলেন প্রতিপক্ষ আরবেস মিয়ার ঘরের ভিতরে হামলা চালায় এবং বারান্দায় বসে থাকা প্রতিবন্ধী ছেলেটাকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। হাসপাতাল নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কেএম নজরুল রাত ১টা ৪৫ মিনিটে বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৭ ঘণ্টা, ২৫ জুন, ২০১৭
আরআই