ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাবতলীর হোটেলগুলোতে নেয়া হচ্ছে গলাকাটা দাম!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
গাবতলীর হোটেলগুলোতে নেয়া হচ্ছে গলাকাটা দাম! গাবতলী বাস টার্মিনালের একটি হোটেল; ছবি- জিএম মুজিবুর

ঢাকা: ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে গাবতলীর খাবার হোটেলগুলোতে নেওয়া হচ্ছে গলাকাটা দাম।

পূর্বের স্বাভাবিক দামের তুলনায় খাবারের প্রতিটি মেন্যুতে ১০০-১৫০ টাকা বেশি মূল্য নিচ্ছে হোটেল মালিকরা।

বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বলে এই গলাকাটা দামে যাত্রীরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই খাবার কিনে খাচ্ছেন।

 

শনিবার (২৪ জুন) গাবতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় ইফতারের পর থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বিভিন্ন খাবার হোটেল পরিদর্শন করে এই চিত্র দেখা যায়।

ঈদের যাত্রী চাপ বাড়ার আগে যেখানে প্রতি প্লেট তেহারি ছিল ১'শ টাকা তা এখন বাড়তি দামে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম খিচুরি প্রতি প্লেট ৪০ টাকার বদলে ৭০ টাকায়, চিকেন খিচুরি প্রতি প্লেট ১০০ টাকার বদলে ১৭০ টাকায়, মাটন খিচুরি প্রতি প্লেট ১৫০ টাকার বদলে ২০০ টাকায়, বিফ খিচুরি প্রতি প্লেট ১০০ টাকার বদলে ১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া এ সব খাবারের পরিমাণ রাজধানীর অন্য যেকোনো খাবারের হোটেল থেকে অনেক কম।

স্বাভাবিক বাংলা খাবারেরও হোটেল মালিকরা দাম নিচ্ছেন ইচ্ছে মতো। এক পিস মুরগির মাংসের দাম নিচ্ছেন ১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০ টাকা, ডিম ৩৫ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়, রুই, পাংগাস ও তেলাপিয়া মাছ দাম বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১৫০,১২০ ও ১৩০ টাকায়।

গলাকাটা এই দাম সম্পর্কে যাত্রীরা বলছেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে ইফতারের পর বাধ্য হয়ে এ সব হোটেলে খাবার খেতে হচ্ছে।  

মো. মিঠু খান নওগাঁগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। ইফতারের পর গাবতলী বাস টার্মিনালের ভিতরের মোহাম্মদীয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে বেশি মূল্য দিয়ে পরিবার নিয়ে খাবার খেয়েছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ৭০ টাকার বিফ খিচুরি ১৭০ টাকা দিয়ে খেয়ে আসলাম। যাত্রী চাপ বেশি থাকায় হোটেল মালিকরা ডাকাতি করছেন।

রংপুরগামী আরেক যাত্রী ইমাম হোসেন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঈদের সময় যাত্রী চাপ বেশি থাকবে এবং টার্মিনালে যাত্রীরা অনেক্ষণ ধরে অপেক্ষা করবে এইটা তো সরকার জানে। অথচ হোটেল মালিকদের খাবারের দাম বেশি নেয়ার ব্যাপারে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে হোটেল মালিকরা বলছেন, তারা স্বাভাবিক দামই নিচ্ছেন। তবে ঈদ উপলক্ষে ১০-২০ টাকা বেশি নিচ্ছেন।  

এ সম্পর্কে গাবতলী বাস টার্মিনালের ভেতরে অবস্থিত আল জামী হোটেলের কর্মকর্তা শাহীন বলেন, কোনো বেশি দাম আমরা নিচ্ছি না। ঈদ উপলক্ষে টার্মিনালে একটু বেশি দাম দিয়ে খাবার খেতেই হয়। এইটা নতুন কিছু না।

বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এমএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।