গত ২২ জুন সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও দেখে স্কুল ছাত্রীদের উত্যক্তকালে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি নজরদারি রাখা হচ্ছে-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিসপাড়া, হাটবাজার, বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে।
জেলা পুলিশের সদস্যরা দাবি করেন, এ ক্যামেরার কারণে শহরের চুরি, ছিনতাই, রাহাজানিসহ যেকোন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সনাক্ত করা সম্ভব হবে। প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে সহজে শাস্তিও দেওয়া যাবে।
সিসি ক্যামেরার কারণে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বখাটেদের উৎপাত কমেছে বলে দাবি ঝালকাঠি জেলা শহরের বাসিন্দাদের।
শহরের সরকারি-বেসরকারি অফিস এলাকাসহ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১২৪টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ক্যামেরার মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নলছিটি পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও ৬০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
ঝালকাঠির জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্থাপন করা এসব ক্যামেরার তদারকি করছে পুলিশ।
চুরি-ডাকাতি, মাদক কেনাবেচা ও দুর্ঘটনা ঘটলে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা ঝালকাঠি ও নলছিটি পৌরসভাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। ঝালকাঠির চার উপজেলাতে এ ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এ কার্যক্রম আরও এগিয়ে নিতে কাজ চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) এম এম মাহামুদ হাসান বলেন, পুলিশ সুপারের উদ্যোগে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঝালকাঠিতে অপরাধ দমনে এ ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এমএস/আরআর