শনিবার (২৪ জুন) মহানগর পুলিশেরে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. জেদান আল মুসার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদের জামাতে সময় নগদ অর্থ, মোবাইলফোন বহনে সর্তক থাকা, অপরিচিত-দুস্কৃতিকারী কেউ যাতে বাসায় প্রবেশ না করে তা নিশ্চিত করা, অপরিচিত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত খাদ্য গ্রহণে সর্তক থাকা, ঈদ জামাতের আশেপাশে ও ফুটপাতে ডাব কিংবা বোতলজাত পানীয় পান করার ক্ষেত্রে সর্তক থাকা, বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মী নিযুক্ত করলে বিশেষ নজর রাখা, ঈদগাহ মাঠে জায়নামাজ ব্যতীত অন্য কোনো বস্তু না নেওয়া, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে ঈদগাহ মাঠের প্রবেশ ও বাহির পথে নজরদারী রাখার ব্যবস্থা করা, ঈদগাহ মাঠের যানজট নিসরনকল্পে ব্যক্তিগত গাড়ি দূরে পার্কিং করা এবং প্রয়োজনে থানা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়া।
বাসা-বাড়ির নিরাপত্তায় ঈদ উপলক্ষে ছুটিতে গেলে বাসা থেকে বেড় হওয়ার আগে দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করা, বাসা কিংবা অফিসে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ব্যবহার, দরজায় নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা, মহল্লা ও বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে-দুস্কৃতিকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করা, বাসায় গেট দরজা খোলা রেখে বা দরজা খোলা রেখে ঈদের নামাজ পড়তে না যাওয়া।
দোকান মালিকরা মার্কেট-শপিং মলে কোনো নগদ অর্থ না রাখা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেড় হওয়ার আগে যথাযথভাবে তালা দেওয়া হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা, স্বর্ণের দোকান, ব্যাংক, বীমা, অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান হলে সিসি ক্যামেরা ও অ্যালার্ম স্কিম ব্যবহার এবং তার সক্রিয়তা আছে কিনা দেখা, ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা টাকা বহনে সর্বদা সতর্ক থাকা, প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নেওয়া, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীর বিশ্বস্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া, মার্কেট-শপিং মলের সকল চাবি নিজের কাছে রাখা, গাড়ি পার্কিংয়ের নির্ধারিত স্থান ব্যবহার, মার্কেট কিংবা বিপণি বিতানে যাওয়ার সময় অলংকারাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, পকেটমার, ছিনতাইকারী, প্রতারক ও দুস্কৃতিকারী কাছ থেকে সাবধান থাকা, মালিক পক্ষ স্ব স্ব মার্কেট-শপিং মলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে জেনারেটর ব্যবহারে অধিক তৎপর থাকা।
যাত্রাপথে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, প্রয়োজনে টহল পুলিশের সহায়তা নেওয়া, রাত্রিকালে জনবহুল রাস্তা দিয়ে চলাচল করা, মূল্যবান সামগ্রী ও টাকা নিয়ে রাস্তায় চলাচলের সাবধানতা অবলম্বন করা, চলন্ত পথে ভাগাভাগি করে কোনো গাড়ি ভাড়া না করা, অপরিচিত কারও কাছ থেকে কোনো কিছু না খাওয়া, সহযাত্রী বেশে থাকা অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির খপ্পর থেকে সতর্ক থাকা, রাতে বাসস্ট্যান্ডে নামলে সতর্কতার সঙ্গে চলা, প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নেওয়া।
ট্যাক্সি-অটোরিকশা বা ভাড়ায় চালিত অন্যান্য গাড়ি ভাড়া করার সময় গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও চালকেন নাম ঠিকানা লিখে নেওয়া এবং ট্রাকে করে ভ্রমণ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যানজট নিরসনে ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলা, নির্দিষ্ট লেনে গাড়ি চালানো চালান। রাস্তার বিপরীত দিকে গাড়ি না চালানো, যত্রতত্র বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা না থামানো, যত্রতত্র গাড়ি ও সিএনজি পার্কিং না করা, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা, হেলমেট পরে মোটরসাইকেল চালানো, গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইলফোনে কথা না বলা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য ২৪ঘণ্টা খোলা থাকবে ০১৭১৩৩৭৪৩৭৫, ০১৯৯৫১০০১০০ ও ০৮২১-৭১৬৯৬৮, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম ০৮২১-৭১৮০২৮, ডিবি কন্ট্রোল রুম ০৮২১-৭২০০৬৬, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি- ০১৭১৩৩৭৪৫১৭, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ- ০১৭১৩৩৭৪৫২২, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট- ০১৭১৩৩৭৪৫২১, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ সুরমা- ০১৭১৩৩৭৪৫১৮, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহপরান(র) ০১৭১৩৩৭৪৩১০, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোগলাবাজার ০১৭১৩৩৭৪৫১৯।
সিলেট মহানগর এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর সর্বত্মাক সহযোগিতা কামনা করেছেন পুলিশ কমিশনার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এনইউ/জিপি
