হেলানা আক্তার নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিক বাংলানিউজকে জানান, আমরা তিনজন ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় বাড়িতে যাচ্ছি। গতবারও ঈদের দুইদিন আগে বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলাম।
একই বাসের যাত্রী গার্মেন্টেস শ্রমিক শিউলি বেগম বাংলানিউজকে জানান, আগের তুলনায় এবারের ঈদে ভালো ভাবেই বাড়িতে যেতে পারছি। এজন্য খুব ভাল লাগছে।
শনিবার (২৪ জুন) সকাল থেকে মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ থাকায় কয়েকটি স্থানে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করে। বিকেল চারটার পর থেকে মহাসড়কে ট্রাক ও ছোট ছোট লেগুনার সংখ্যা অনেক কম থাকায় গাড়ির চাপ অনেকটায় কমতে শুরু করে। মহাসড়কে মির্জাপুরের ধেরুয়া রেলক্রসিং থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হলেও তা স্থায়ী হয়নি।
এছাড়া গোড়াই, মির্জাপুর, পাকুল্লা, নাটিয়া পাড়া, করটিয়া, টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের রাবনা-আশেকপুর, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও লিংক রোড থাকায় মাঝে মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হলেও কিছুক্ষণ পরই তা নিরসন হয়ে যায়।
এদিকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হয়। মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার সড়ককে ৬টি ভাগে বিভক্ত করে আট শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ৪৫টি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছে। এ মহাসড়কে উত্তরবঙ্গ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের অন্তত ২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
বিএস/