শনিবার (২৪ জুন) ভোরে রংপুরের পীরগঞ্জে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে ১৭ জনের (শেষ খবর পর্যন্ত) প্রাণহানি হয়। তাদের মধ্যে নাসিদা ইয়াছমিন একজন।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নাসিদার মরদেহ সোনাইকাজীর বাড়িতে এসে পৌঁছলে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস। নিজ গ্রামের মেয়ের মুখখানি একনজর দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় নারী-পুরুষসহ সব বয়সীরা। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
ঢাকা থেকে রওনা দেওয়ার আগে বাড়িতে ফোনে নাসিদা জানায়, মায়ের জন্য শাড়ি, ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবি আর ছোটদের জন্য পোশাক কিনেছে। আশা ছিল বাড়িতে এসে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবে, সবাই মিলে উপভোগ করবে ঈদের আনন্দ। কিন্তু নাসিদার সেই আশা পূরণ হলো না।
বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নাসিদা গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর উপজেলার স্টাইল ক্রাফট লিমিটেডে কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর পদে চাকরি করতো। বাসের টিকিট না পেয়ে শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে গাজীপুর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য রংপুরগামী সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকে চাপেন।
ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, নাসিদা দীর্ঘদিন ধরে গার্মেন্টসে চাকরি করে অভাব-অনটনের সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়েছে। ঈদের আনন্দ সবাই মিলে ভাগ করে নিতে বাড়ি ফিরছিলো। কিন্তু স্বজনদের মাঝে ফিরলো তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
জেডএস