ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতেই যানজট সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতেই যানজট সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে নলকা সেতু। ছবি: স্বপন চন্দ্র দাস

সিরাজগঞ্জ : পুরনো ও জরাজীর্ণ নলকা সেতুর কারণেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঈদে ঘরে ফেরা উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের। সেতুটি খানা-খন্দে ভরা থাকলেও ঈদের আগ মুহূর্তে সেগুলো সংস্কার করা হয়নি। এ কারণে সেতুর দু’প্রান্তে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই রয়েছে।

শনিবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, ৫ মিনিট পরপরই এ সেতুকে ঘিরে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।   সেতুর দু’পাশে ও মাঝখানে অধিক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেও স্থায়ীভাবে যানজট নিরসন করা যাচ্ছে না।


 
ঢাকা থেকে বগুড়াগামী ট্রাকচালক মিলন বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ভালভাবেই এসেছি। কিন্তু সেতু পার হওয়ার পর থেকেই থেমে থেমে যানজট লেগেই আছে। আর নলকা সেতু পার হতেই সময় লেগেছে প্রায় আধ ঘণ্টা।

শ্যামলী পরিবহনের হেলপার আশরাফ, নওগাঁ পরিবহন মালিক সমিতি ট্রাভেলসের চালক রফিকুল, নাবিল ক্লাসিকের চালক শফিক, হানিফ পরিবহনের রাজু ও ট্রাকচালক ফারুকসহ কথা হয় আরও অনেকের যানবাহন শ্রমিকের সঙ্গে।

তারা বলেন, এ মহাসড়কের নলকা সেতুটিই যেন বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুতে ওঠার আগে থেকেই গাড়ির গতি কমিয়ে দিতে হয়। আর অত্যন্ত শ্লথ গতিতে সেতুটি পার হতে হয়। অপরদিকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় আরও একটি ছোট সরু সেতু রয়েছে। এ দুটি সেতু পুরো উত্তরাঞ্চলের মানুষকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে। তাছাড়া সেতু দুটি আঞ্চলিক সড়কের জন্য নির্মিত। দুটো গাড়ি একসঙ্গে যাতায়াত কষ্টকর। এসব কারণে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে জানান চালকরা।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালে সিরাজগঞ্জ-বগুড়া আঞ্চলিক সড়কের ফুলজোড় নদীর উপর এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৮ সাল আঞ্চলিক সড়কটি মহাসড়কে পরিণত হলেও এই সেতুটি তেমনই রয়েছে। আর মহাসড়ক হওয়ার পর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করছে এ সেতুটি দিয়েই।

হাটি কুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আব্দুল কাদের জিলানি বাংলানিউজকে বলেন, মহাসড়কের নলকা সেতু এবং হাটি কুমরুল গোলচত্বরের পূর্বপাশের ছোট সেতুটি মহাসড়কের তুলনায় বেশি সরু সরু হওয়ায় গাড়ির গতি কমাতে হচ্ছে। আর এ কারণেই থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরসনে নলকা সেতুকে ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, মহাসড়কে তিনটি কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রথম কারণ নলকা সেতু। খানা-খন্দে ভরা থাকায় সেতুটির উভয়পাশে দফায় দফায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বিকল হয়ে পড়াতেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে দীর্ঘ যানজট যাতে সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে ২শ’ হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে জেলা পুলিশের ৪শ’ সদস্য কাজ করছে।

সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল সব অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগে নলকা সেতুটি সংস্কার করা হয়েছে। এখনো এটি ভালই রয়েছে। তবে অতিরিক্ত যান চলাচলের কারণে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ মহাসড়কটি ফোরলেন করা হচ্ছে। আর সে অনুযায়ী ওই দুটি সেতু ভেঙ্গে নতুন সেতুও নির্মাণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad