আর একটু সামনে এগোতেই ‘ওই লক্ষীপুর, ওই হোমনা, গাড়ি খালি, সিটখালি, নগদ গাড়ি, ভাড়াকম’ ইত্যাদি বলে বলে যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে মরিয়া বাসের হেল্পাররা। কেউ টিকেট কিনছেন।
শনিবার (২৪ জুন) ঈদে ঘরমুখো মানুষদের আকৃষ্ট করতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে কুমিল্লা, লক্ষীপুর, ফেনী, মনোহরদী, ভৈরব, সিলেট, বরিশাল, মাগুরা, মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাসগুলোতে এই দৃশ্য দেখা গেছে। তবে এগুলোর বেশির ভাগই লোকাল বাস। গতকাল নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় ছিলো উপচে পড়া।
তবে অফিস ছুটির পর শেষ বিকেলে ও সন্ধ্যায় আবারো উপচে পড়া ভিড় হবে বলে জানিয়েছেন বাসের ড্রাইভার ও হেলপাররা। তারা বলছেন, সকালে অনেকেই বাড়ির পথে রওয়ানা হয়ে গেছেন। বিকেলে ও সন্ধ্যায় আরেক দফায় আরো মানুষ মানুষ বাড়ির পথ ধরবেন। তাই দুপুরবেলা বাসগুলো অনেকটাই যাত্রীহীন ফাঁকাই যাচ্ছে।
আল সৈয়দ মৌসুমী পরিবহনের এক কর্মকর্তা বললেন, বিভিন্নভাবে ছুটি হওয়ায় এবার বাসে ভিড় অন্যবারের চেয়ে কম। তবে লঞ্চে মানুষের ভিড় বেশি।
নোয়াখালীর যাত্রীসেবা পরিবহনের ডাইভার গুফনার বাংলানিউজকে জানান, অন্যান্য বছর ঈদে যাত্রীপ্রতি ৪-৫’শ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু এবার ৩’শ টাকা নিচ্ছি। কিন্তু লোক কম।
মাদারীপুরগামী সোনালী পরিবহনের সুপারভাইজার মো. তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘সকাল ৫টা থেকে আধা ঘন্টা পর পর আমাদের গাড়ি চলছে। প্রথমি তিনটি গাড়ির সব সিট ফিলআপ হয়েছে। কিন্তু এরপর থেকে ৩০জনের বেশি যাত্রী যাচ্ছে না। সব সময় ঈদ উপলক্ষে সিট ফিলআপ হওয়ার পর দাঁড়িয়েও থাকেন যাত্রী। এবার তা হচ্ছে না। তবে আজ শেষ বিকেলে যাত্রী বাড়বে। কারণ আজ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ছুটি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এমএফআই/জেএম