বাসের কাউন্টারে কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাগেরহাট জেলায় ট্রাক উল্টে যাওয়ার কারণে বাস চার ঘণ্টা দেরি করেছে। পরে ফেরি পারাপরেও দেরি হচ্ছে।
অথচ একই এলাকার উদ্দেশে সময় মতো গাড়ি ছাড়ছে হা-মীম, গ্রামীণ, ফালগুনী পরিবহন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে রোজা রেখে গাড়ির অপেক্ষায় থাকা আরিফুর রহমান বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার ঝামেলার মুক্ত থাকার জন্য এক সপ্তাহ আগেই টিকিট কিনেছি। কিন্তু এখন সেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। ভাগ্যিস স্ত্রী, বোন ও ছেলে মেয়েদের আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। না হলে তাদেরও এ গরমে কষ্ট করতে হতো।
তিনি বলেন, যখনি টিকিট কাউন্টারে বলি বাস কখন আসবে তারা জানান আর আধা ঘণ্টার মধ্যে চলে আসবে। কিন্তু এখনো আসছে না। জানি না আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে এ বলে এদিক-ওদিক ছুটছেন।
কিন্তু একই সময়ে বাবা ও মায়ের সঙ্গে আসা শিশু আফিয়া বাসের অপেক্ষায় ক্লান্ত হয়ে হাই তুলছেন, কিছুক্ষণ পরপর ঘুমিয়ে পড়ছেন। আবার ঘুম থেকে উঠেই বাবাকে প্রশ্ন করছেন বাস আসতে আর কতক্ষণ? অসহ্য হয়ে বলছে, বাড়ি যাওয়ার দরকার নেই বাবা, চলো বাসায় চলে যাই। টার্মিনালের পর্যটক কাউন্টারের সামনে এসে দেখা গেলো, নতুন ও পুরাতন কাপড় এবং খরবের কাগজ বিছিয়ে শুয়ে আছেন বেশ কিছু যাত্রী। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
শুধু আরিফুর, শিশু আফিয়া নয় একটু আরাম ও ভোগান্তি থেকে রক্ষার জন্য যারা বাড়তি টাকা দিয়ে অগ্রিম টিকেট কিনেছেন তাদের বেশিরভাগ যাত্রী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
তবে যে সব যাত্রী লোকাল বাসে টিকিট কেটে বাড়ি যাচ্ছেন তারা অগ্রীম টিকিট করা যাত্রীদের চাইতে আগেই টার্মিনালকে বিদায় জানাচ্ছে।
একদিকে প্রচন্ড গরম। অন্যদিকে রোজা রেখে সকাল থেকে টার্মিনালে বাসের অপেক্ষায় ক্লান্ত হয়ে এক নারী ঘুমিয়ে পরেছেন টার্মিনালে তাকে পাহারা দিচ্ছেন তার স্বামী আফিস আলী। তাদের গন্তব্য মাদারীপুর।
আফিস আলী বাংলানিউজকে বলেন, সোনালী পরিবহনের এসি বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। সাত দিন আগেই অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়েছি। কিন্তু এখনো বাস আসছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
আরআইএস