ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদে জমজমাট গহনার দোকানও

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
ঈদে জমজমাট গহনার দোকানও গহনার দোকানে ক্রেতাদের ভিড়-ছবি অনিক খান

ময়মনসিংহ: পছন্দের শাড়ি ও জামা কেনা শেষ। সাজে পরিপূর্ণতার জন্য এবার পোশাকের সঙ্গে মানানসই গহনা কেনার পালা। শেষ মুহূর্তে নারীরা গহনা কিনতে ছুটছেন দোকানে দোকানে। 

উচ্চবিত্তদের আকর্ষণ সোনার গহনায়। অনেকের সোনার গহনা কেনার সামর্থ্য না থাকায় ইমিটেশন গহনাতেই সন্তুষ্ট থাকছেন।

মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ইমিটেশন গহনা। আবার কেউ কেউ রুপার ওপর সোনার প্রলেপ দেওয়া গহনাও কিনছেন।

ময়মনসিংহ নগরীর সরকার ম্যানসন, বারী প্লাজা, উত্তরা শপিং সেন্টার, হকার্স মার্কেটসহ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এসব গহনার দোকানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।  

ঈদের কেনাকাটায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির নারীরা ঝুঁকছে ইমিটেশন গহনার দিকে। সাধ্যের মধ্যে ললনারা নিজেকে সাজাতে কিনছেন নানা ডিজাইনের গহনা।  

নগরীর সরকার ম্যানসন মার্কেটে সোনার প্রলেপ দেওয়া গহনা কিনতে এসেছেন সুমাইয়া আক্তার। বাংলানিউজকে তিনি জানান, ঈদের গহনার বাজারে গোল্ড প্লেটের গহনা আমার মতো অনেকেরই পছন্দের শীর্ষে।  

পুতি, পাথর আর মুক্তার মিশেলে তৈরি এসব রকমারি গহনা পছন্দের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পড়বে সবাই।  

গহনার দোকানে ক্রেতাদের ভিড়-ছবি অনিক খানদেখা গেছে, সোনার দাম অনেক বেশি থাকায় এর বিকল্প হিসেবে ইমিটেশনের গহনার দিকে আগ্রহ বাড়ছে নারীদের। তাদের ফ্যাশন জগতে দিন দিন জায়গা দখল করে নিচ্ছে ইমিটেশনের গহনা। ফলে এসব গহনা বিক্রিও হচ্ছে বেশি।  

নগরীর বেশ কয়েকজন ইমিটেশন গহনার ব্যবসায়ী জানান, মাটি, পিতল আর পালকের তৈরি দেশি স্টাইলের গহনা বেশি চলছে। এসবের পাশাপাশি এন্টিক গহনার চাহিদাও কম নয়। ভারত, চায়না ও কোরিয়া থেকে আসা এমন স্টাইলের গহনা স্বল্প দামেই বিক্রি হচ্ছে।  

ময়মনসিংহ নগরীর খান ম্যানসনের এক ইমিটেশন গহনার দোকানের বিক্রেতা জানান, ঈদে ললনাদের কাছে ইমিটেশন গহনার কদর বেড়েছে। ঈদের বাজারে ছাড়া হয়েছে নতুন ‍ডিজাইনের গহনা, যা হালের তরুণী ও গৃহিণীদের ফ্যাশনে উপযোগী। দোকানে বেচাকেনাও খুব ভালো।

ময়মনসিংহ নগরীর একটি জুয়েলারি দোকানের ব্যবসায়ী জানান, এবার বাজারে নতুন নতুন ডিজাইনের গহনা এসেছে। রমজানের শেষের দিকে বেচাকেনা বেড়েছে। প্রতিদিন অন্তত এক থেকে দেড় লাখ টাকার বিক্রি হচ্ছে।  

গহনার দোকানে ক্রেতাদের ভিড়-ছবি অনিক খানকথা হয় ইমিটেশন গহনা কিনতে আসা দুই নারীর সঙ্গে। তাদের একজন রুবিনা আক্তার। তিনি জানান, সোনার দাম বাড়ার কারণে এখন আর গহনা বানানো যায় না। এ কারণে ইমিটেশন গহনাই একমাত্র ভরসা।

তার সঙ্গে যোগ করে আইরিন আক্তার নামে আরেকজন ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, ইমিটেশন গহনায় চুড়ি, গলার মালা, আংটি, কানের দুল ও ব্রেসলেট অনেক কম দামেই মিলছে।  

গহনার পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন প্রসাধনীর দোকানে বডি স্প্রে, মাশকারা, কাজল, আইলাইনার, আইশ্যাডো, লিপস্টিক, লিপগ্লস, মেকআপ বক্স, ক্লিপ, টিপ, হিজাবের ব্রোচ কিনতে ভিড় করছেন নারীরা। এসব দোকানেও নারী ক্রেতাদের জমজমাট ভিড়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭ 
এমএএএম/আরআর


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।