শনিবার (২৪ জুন) দুপুর ১টার দিকে আশুলিয়ার নারী ও শিশু কেন্দ্র হাসপাতাল থেকে সিফাত এবং পূর্ব কলতাসূতী এলাকার আমজাদের বাড়ি থেকে খাদিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সিফাত কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার চালিভাঙা গ্রামের আমানুল্লাহর ছেলে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসনে বাংলানিউজকে জানান, সিফাত ও তার মা নিপা বেগম (৩০) সকালে একই কক্ষে ছিলেন। দুপুরে অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় প্রতিবেশিদের সন্দেহ হয়। পরে জানালা ভেঙে সিফাতকে বিছানার উপর ও নিপাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এসময় তাদের উদ্ধার করে নারী ও শিশু কেন্দ্র হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সিফাতকে মৃত ঘোষণা করে এবং নিপাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে, সিফাতকে হত্যার পর মা নিপা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করেছেন তা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।
এদিকে, আশুলিয়ার কলতাসূতী এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে খাদিজা সকাল থেকে কক্ষের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে রাখেন। পরে স্বামী সফিকুল গিয়ে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
মরদেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসআই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
আরবি/