ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যানজটমুক্ত কুমিল্লার অংশ, ভোগান্তি মুন্সিগঞ্জে

ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
যানজটমুক্ত কুমিল্লার অংশ, ভোগান্তি মুন্সিগঞ্জে টোলপ্লাজায় নেই চেনা যানজটের চিত্র- ছবি- বাংলানিউজ

কুমিল্লা: ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপে যানবাহন চলাচল বেড়ে গিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট দেখা গেলেও এবারের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। বাংলাদেশের অন্যতম ব্যস্ত এ মহাসড়কটির কুমিল্লার ৯৭ কি. মি. অংশ গত দু’দিন ধরেই যানজটমুক্ত রয়েছে।

তবে এ মহাসড়কের মেঘনা ব্রিজ থেকে মুন্সিগঞ্জ, গজারিয়া, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ অংশে রয়েছে তীব্র যানজট। হাইওয়ে পুলিশ, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যানজট নিরসনে কাজ করলেও মেঘনা ব্রিজ থেকে কাচঁপুর ব্রিজ পর্যন্ত নিয়মিত যানজট হচ্ছে।

আর এ অংশটিই ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তির মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রমতে, রমজানের শুরু থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে প্রায় চান্দিনা পর্যন্ত প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকতো। কারণ হিসেবে সেতু টোলপ্লাজায় কিছু কর্মকর্তার নীরব চাদাঁবাজি, অনেক সময় ধরে ভারী যানবাহনগুলো আটকে রেখে চাদাঁ আদায়ের কথা জানা যায়।  

তবে ঈদ ঘিরে শুক্রবার (২৩ জুন) থেকে ভারী যানবাহন মহাসড়কে চলাচল না করায় এ ‘কৃত্রিম’ যানজট থেকে কিছুটা মুক্তি পেয়েছে মহাসড়কের কুমিল্লার ৯৭ কি. মি. অংশ।  

মহাসড়কে সরেজমিন দেখা যায়, দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে আলেখারচর বিশ্বরোড পর্যন্ত ৫৪ কি.মি. অংশ প্রায় ফাকাঁ। এ অংশে কোনো ভারী যানবাহন নেই। ঈদের পরের তিনদিন পর্যন্ত কোনো ভারী যানবাহন মহাসড়কে চলাচল করতে দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ জানান, মহাসড়কের দাউদকান্দির এ অংশে কোনো যানজট নেই। আশা করি ঈদে বাড়িপানে ছোটা মানুষজন স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরতে পারবেন।

এদিকে মহাসড়কের পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড থেকে মোহাম্মদ আলী এলাকা পর্যন্ত ৪২ কি. মি. অংশে শুক্রবার সকাল থেকে ভারী যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। রাত ৯টা থেকে শনিবার ভোর ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৪শ’ ভারী যানবাহন এ মহাসড়ক ব্যবহার করলেও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। সকাল থেকেই যানজটমুক্ত রয়েছে মহাসড়কের এ অংশ।

এ বিষয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ সার্জেন্ট মো. ইব্রাহিম বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার দিনের বেলায় চট্টগ্রাম-ফেনী থেকে আসা মালবোঝাই সব ভারী যানবাহন ফেরত পাঠানো হয়েছে। রাত ৯টার পর দেখে দেখে ওইসব যানবাহন সিরিয়াল করে ছাড়া হয়েছে। আজও কোনো ভারী যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই যানজটমুক্ত রয়েছে মহাসড়কের এ
অংশ।

বিভিন্ন সূত্রমতে, মহাসড়কের কুমিল্লার ৯৭ কি. মি. অংশ যানজটমুক্ত হলেও মুন্সিগঞ্জ, গজারিয়া, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ এ এলাকাগুলোতে গত ২/৩ মাস ধরেই যানজট প্রকট আকার ধারণ করেছে।  এসব এলাকায় এক জায়গাতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকে।

মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন শিল্পকারখানা, বাজার, যত্রতত্র ভারী যানবাহন ফেলে রাখা, সুষ্ঠু ট্রাফিক সিস্টেমের অভাবে মহাসড়কের এ অংশের প্রায় ৩০ কি. মি. মানুষের ভোগান্তির মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অংশটি যানজটমুক্ত করতে পারলেই ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে মহাসড়কটি ব্যবহারকারীদের ভোগান্তি লাঘব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।