মোবাইলে সর্বশেষ এভাবে কথা হয় মজনু মিয়ার। শনিবার (২৪ জুন) সকাল ৬টায় ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কলাবাগান কালিবাড়ি এলাকায় ট্রাক উল্টে ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
মজনুর বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর বত্রিশ হাজারী গ্রামে। সকাল ১১টায় তার বাবা জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কথা হলে বাবা-ছেলের সর্বশেষ মোবাইলের কথোপকথন জানা যায়।
মজনুর বাবা জানান, মজনুর দেশি মুরগির মাংস বেশ পছন্দ। ছেলে ছুটি পেয়েছে শুনে বাড়ির বড় মুরগিটা রান্না করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যার আগে বাড়ি পৌঁছার কথা ছিলো মজনুদের। কিন্তু যানজটের কারণে তাদের ট্রাকটি সেহরি করার জন্য থামে সিরাজগঞ্জে। বগুড়ায় পৌঁছে সর্বশেষ মোবাইলে কথা হয় বাবা-ছেলের।
ওই ট্রাকের যাত্রী ছিলো মজনুর চাচাত বোন বন্যা (৮)। সেও মৃত্যুর মিছিলে সামিল হয়েছে। আহত হয়েছেন মজনুর চাচা ঝন্টু মিয়া, চাচি জামিনাসহ অনেকেই।
মজনুর মা মাহফুজা বেগম ছেলের মৃত্যুর খবরে বাকরুদ্ধ। ক্ষণে ক্ষণে মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি।
এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ওই ট্রাকের যাত্রী মজনু ও শিশু বন্যাসহ কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলায় ১৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকায় বইছে শোকের মাতম। ১৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হলেও অনেকের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এসএনএস