ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফুটপাতে জমে উঠেছে নতুন টাকার বেচাকেনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
ফুটপাতে জমে উঠেছে নতুন টাকার বেচাকেনা ফুটপাতে জমে উঠেছে নতুন টাকার বেচাকেনা- ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: ঈদ‍ুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীর ফুটপাতে জমে উঠেছে নতুন টাকার বেচাকেনা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়া দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবি জাহিদুল ইসলাম। বাড়ি ফরিদপুর।

কয়েক বছর ধরে ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে টাকার নতুন নোট সংগ্রহ করেন। নতুন টাকা সংগ্রহ করতে এবারও মতিঝিল সেনা কল্যাণ ভবনের সামনে যান তিনি।

তিনি বলেন, এবার নতুন নোটের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে প্রতি বান্ডেলে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে। গত বছর তিনি ৫ টাকার এক বান্ডেল ১৫০ টাকা, ১০ টাকার এক বান্ডেল ১০০ টাকা ও ২০ টাকার এক বান্ডেল ১০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনেছিলেন। এবার ৫ টাকার বান্ডেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ১০ ও ২০ টাকার বান্ডেল ১৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে।
প্রতি বান্ডেলে রয়েছে এক হাজার টাকা।

নতুন টাকা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই টাকার নোটের এক বান্ডেলে থাকে ২০০ টাকা। এই টাকা নেওয়ার জন্য ক্রেতাদের দিতে হবে ২৫০ টাকা। ৫ টাকার নোটের এক বান্ডেলের ৫০০ টাকা নেওয়ার জন্য ক্রেতাদের বেশি গুনতে হবে দুইশ টাকা। ১০ টাকার এক বান্ডেল ১০০০ টাকা নিতে হলে বেশি দিতে হবে ১৫০ টাকা। ২০ টাকার এক বান্ডেল ২ হাজার টাকা নিতে হলে বেশি দিতে হবে ১৫০ টাকা। এছাড়াও ৫০ টাকার এক বান্ডেল ৫ হাজার নিতে হলে ক্রেতাকে ১০০ থেকে টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। ১০০ টাকার এক বান্ডেল ১০ হাজার টাকা নিতে বাড়তি গুণতে হবে ১০০ টাকা।

ঈদ সালামি, বখশিস, ফিতরা, দান-খয়রাত প্রভৃতির জন্য নতুন টাকা সংগ্রহ করে মানুষ। ব্যাংকের বাইরে রাজধানীর গুলিস্তান, মতিঝিল, সদরঘাট, মিরপুর ও নিউমার্কেট এলাকায় বিক্রি হয় নতুন টাকা। তবে নতুন টাকার সবচেয়ে বড় বাজার গুলিস্তান ও মতিঝিল।

বিক্রেতারা জানান, সারা বছর নতুন নোট বিক্রি হলেও ঈদের সময় চাহিদা বেশি থাকায় বেশি দামে কিনতে হয়। তাই তারা অন্য সময়ের চেয়ে এখন ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন।   গুলিস্তান ও মতিঝিল সেনা কল্যাণ ভবনের সামনে প্রায় অর্ধশত বিক্রেতা নতুন টাকা নিয়ে বসে আছেন। অধিকাংশ নোট বিক্রেতাই নারী।

নোট ব্যবসায়ী সুলতানা পারভিন বলেন, সারা বছর নতুন নোট বিক্রি হলেও ঈদের আগে চাহিদা বাড়ে। তাই দামও একটু বেশি হয়। তিনি বলেন, তিন বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে আঙ্গুলের ছাপ রেখে নোট দেওয়ায় আমরা বেশি টাকা তুলতে পারছিনা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেশি টাকা দিয়ে নোট কেনায় দাম একটু বেড়েছে।

এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নোট বিনিময় করেছে চলতি বছরের ৮ থেকে ২২ জুন। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখা ছাড়া ঢাকা শহরে অবস্থিত ২০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা থেকে নতুন টাকা বিনিময় করা হয়েছে।

দুই টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট প্রতিটি একটি প্যাকেট করে বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হয়। একজন যাতে একাধিকবার নতুন নোট নিতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে বিতরণের সময় আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি তুলে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এসই/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।