ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদ যাত্রায় আকাশ পথেও ভিড়

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
ঈদ যাত্রায় আকাশ পথেও ভিড় ঈদ যাত্রায় আকাশ পথেও ভিড়/ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: আরমাত্র এক বা দুই দিন পরেই সারাদেশে উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। তাই শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত নগরী ছেড়ে গ্রামের পথে মানুষের ভিড়। বাস, ট্রাক, লঞ্চ, ট্রেন কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই শুধু মানুষ আর মানুষ।

অন্যান্য পথেরমত আকাশ পথেও যাত্রীদের ভিড় কম না। হযরত শাহজাহালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ রানওয়ে থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো ফ্লাইটেই আসন ফাঁকা নেই।

সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-যশোর, ঢাকা-সৈয়দপুর বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট।
 
শনিবার (২৪ জুন) সকালে বিমানবন্দরের ডমোস্টিক টার্মিনালে দেখা যায় আকাশ পথের যাত্রীদের ভিড়। টার্মিনালের ভেতর কথা হয় আব্দুল আলিম নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বাসে যেতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লেগে যায়। গত বছরও পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত যেতেই ৮ ঘণ্টা লেগেছে। যানজট থেকে মুক্ত হতে বিমান পথে যাত্রা।
 
যশোরগামী নভো এয়ারের এই যাত্রীর ফ্লাইট ছিল সকাল সাড়ে ৮টায়। ফ্লাইট ধরতে না পারায় অন্য ফ্লাইটে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন। তারমত আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী ফ্লাইট মিস করে টার্মিনালের ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছিলেন। এসব যাত্রীর বেশিরভাগই বিভিন্ন দেশ থেকে ঢাকায় এসেছেন। এখন যাত্রা গ্রামের পথে।
 
ঈদ উপলক্ষে ইউএস বাংলা বাড়তি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। তারপরেও যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ইউএস বাংলার ডমোস্টিক টার্মিনালের টিকিট সেলস ইনচার্জ নাইম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের ২৫ জুন পর্যন্ত কোনো ফ্লাইটে একটি সিটও খালি নেই। নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি বাড়তি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেও যাত্রীদের চাহিদামত টিকিট দিতে পারছি না। ’
 
ইউএস বাংলার ঢাকা-যশোর দু’টি ফ্লাইট রয়েছে। সকাল ৭টা ৪০মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম ফ্লাইট যশোরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এরপর বিকেল ৫টা ৪০মিনিটে যাশোরগামী আরও একটি ফ্লাইট রয়েছে। ঢাকা-কক্সবাজারেরও দু’টি ফ্লাইট রয়েছে। এরমধ্যে সকাল ৯টা ৫০মিনিটে একটা ২টা ৪০মিনিটে একটা।
 
‌ইউএস বাংলার ঢাকা-সিলেট রুটে রয়েছে একটি ফ্লাইট। দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে সিলেট যাবে একমাত্র ফ্লাইটটি। এছাড়া ঢাকা-সৈয়দুপর দু’টি, ঢাকা-রাজশাহী একটি এবং ঢাকা-বরিশাল একটি ফ্লাইট রয়েছে।  
 
একইভাবে নভোএয়ারের ঢাকা-চট্টগ্রাম তিনটি ফ্লাইট, ঢাকা-কক্সবাজার দু’টি ফ্লাইট, ঢাকা-যশোর ৩টি ফ্লাইট, ঢাকা-সৈয়দপুর ৩টি এবং ঢাকা-সিলেট একটি ফ্লাইট রয়েছে।
 
রিজেন্ট এয়ারওয়েজ অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা-চট্টগ্রাম ৫টি ফ্লাইট এবং ঢাকা-কক্সবাজার একটি ফ্লাইট রয়েছে। প্রতিটি বিমানের সবগুলো ফ্লাইটেই যাত্রীপূর্ণ রয়েছে।
 
নভোএয়ারের ডমোস্টিক টার্মিনালের টিকিট সেলস ইনচার্জ ঈশিতা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সব ফ্লাইটের সিট আগে থেকেই বুক দেওয়া। এখন যদি কেউ ফ্লাইট বাতিল করেন সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কোনো যাত্রী পেলে নিয়ে যাচ্ছি। এবার অন্য বছরের চাইতে আকাশ পথে যাত্রীদের চাপ বেশি বলে জানান তিনি।
 
সড়ক পথে যানজট, দুর্ঘটনা আর ট্রেনের টিকিট সোনার হরিণের মতো হওয়ায় আকাশ পথে যাত্রীদের চাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। স্বল্প সময়ে যানজটমুক্ত নিরাপদ ভ্রমণের জন্য আকাশ পথই এখন একমাত্র ভরসা।
 
ডমোস্টিকে আরও ফ্লাইট বাড়ানোর দাবি করলেন সৈয়দপুরগামী যাত্রী ইসরাত জাহান। তিনি বলেন, ট্রেন বাসেরমত বিমানেও ১৫ দিন আগে থেকেই টিকিট পাওয়া যায় না। তাই আমার মনে হয় আরও ফ্লাইট বাড়তে পারলে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এসএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।