শনিবার (২৪ জুন) সকাল সোয়া ৯টায় সবচেয়ে বেশি চাপ ছিল নীলফামারী অভিমুখী ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’-এ। বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে টিকিট নিয়ে অনেক যাত্রীই এ ট্রেনে চড়তে পারেন নি।
নীলসাগরের ছাদে ওঠার জন্য আগেই যারা স্টেশন প্লাটফর্মের ছাউনির উপর উঠেছিলেন, তাদের অনেকেই শেষ পর্যন্ত ছাদেও জায়গা পাননি। এমনই একজন সৈয়দপুরের মাসুম আলী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ভোর ৫টায় এসেও ভিড়ের কারণে ট্রেনে উঠতে পারিনি।
অন্যদিকে অনেক যাত্রী আগে থেকে টিকিট কেটে রেখেও ভিড়ের কারণে ট্রেনের কাছে ঘেঁষতেই পারেননি। অ্যাটেনডেন্টরা আগে থেকে দরজা বন্ধ রাখায় তাদের এ বিপত্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে গাড়ি ছাড়ার মিনিট খানেক আগে দরজা খুললেও সবার পক্ষে তা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি।
এদিকে নীলসাগর চলে যাওয়ার পর তিতাস কমিউটার ও দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ছেড়ে গেছে ভিড় ছাড়াই। টিকিটধারীরা এ ট্রেন দু’টোতে কাঙ্ক্ষিত আসন পেয়েছেন। স্ট্যান্ডিং টিকিটেও চাপ ছিল কম। তবে কিছু যাত্রীকে ঠিকই ছাদে স্থান নিতে দেখা গেছে।
স্টেশন কর্মকর্তাদের মতে, সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোতেই ভিড় দেখা যাচ্ছে। অন্য লাইনের ট্রেনে ততোটা ভিড় নেই। বিশেষ করে সকাল সাড়ে নয়টার পরের ট্রেনগুলোতে যাত্রীচাপ বলতে গেলে স্বাভাবিক সময়ের মতো। প্লাটফর্মেও ভিড় কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশংকা করছে, বিকেলের দিকে ভিড় আরো একধাপ বাড়বে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, অনেক গার্মেন্টকর্মী বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শনিবার অফিস শেষে ছুটি পাচ্ছেন। তারা যখন রওনা দেবেন তখন আরেকদফা চাপ পড়বে। যার চিত্র দেখা যাবে দুপুরের পর থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
আরএম/জেডএস