ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ভুলে ভরা পাসপোর্টে ভোগান্তি-ক্ষতিতে নাটোরবাসী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
ভুলে ভরা পাসপোর্টে ভোগান্তি-ক্ষতিতে নাটোরবাসী ভুলে ভরা পাসপোর্টে ভোগান্তি-ক্ষতিতে নাটোরবাসী

নাটোর: ভুলে ভরা পাসপোর্ট পেয়ে ভোগান্তিসহ ক্ষতির মুখে পড়ছেন নাটোরের গ্রাহকরা। ভুলগুলো ঢাকা অফিস থেকে হচ্ছে বলে দাবি নাটোর জেলা পাসপোর্ট অফিসের। নতুনভাবে আবেদন করে পাসপোর্ট নেওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।

ভুলে ভরা পাসপোর্ট ব্যবহার করতে না পেরে দুর্ভোগে পড়ছেন গ্রাহকরা। নতুনভাবে আবেদন করতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়সহ সময়ের অপচয় হচ্ছে তাদের।

তবে এসব ভুলে ভরা পাসপোর্টের দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন জেলা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। ঢাকা থেকে ভুল পাসপোর্ট বই সরবরাহ করায় সংশোধনের সুযোগ নেই উল্লেখ করে বিনয়ের সুরে গ্রাহকদের ফের আবেদন করার অনুরোধ করছেন তারা।


পরিবারের সদস্যদের একাধিক পাসপোর্টে ভুলে থাকায় ভোগান্তিসহ অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয়ের মুখে পড়েছেন নাটোর সদর উপজেলার একডালা গ্রামের আলফাজুল আলমের ছেলে আতিকুল আলম।

আতিকুল বাংলানিউজকে জানান, প্রায় দু’মাস আগে নাটোর পাসপোর্ট অফিসের মাধ্যমে নিজেরসহ স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়াংকা ও দু’বছরের শিশুকন্যা আয়েশা আলমের নামে তিনটি পাসপোর্টের আবেদন জানান তিনি। প্রক্রিয়া শেষে গত ১৩ জুন ওই অফিস থেকে পাসপোর্ট তিনটি দেওয়া হয়।

কিন্তু তার পাসপোর্টে স্ত্রীর ইংরেজি নামে জান্নাতুলে দু’টি ইংরেজি ‘এন’--এর স্থলে তিনটি ‘এন’ বসানো হয়েছে। আবার স্ত্রীর পাসপোর্টে ইংরেজি শব্দের প্রিয়াংকা বানান ভুল। আর মেয়ের পাসপোর্টে জন্মতারিখ ২৩ জুনের স্থলে ১৩ জুন লেখা রয়েছে।

এ সামান্য ভুল সংশোধনে নাটোর অফিসে গেলে তাকে জানানো হয়, জেলা অফিসের কোনো ভুল হলে সংশোধনের চেষ্টা করা হতো। এটি ঢাকা অফিসের ভুল, তাই সংশোধনের সুযোগ নেই। এখন নতুন করে আবেদন করতেও বলেন তারা।

নতুন করে আবেদন করতে তাকে আবারও প্রায় ১০ হাজার টাকা ব্যয় ও সময়ক্ষেপণ করতে হবে।

আতিকুল আলমের প্রশ্ন, কর্তৃপক্ষের অসাবধানতা বা ভুলের খেসারত তাকে দিতে হবে কেন?


পাসপোর্ট অফিসে আসা আরও অনেক গ্রাহকেরও অভিযোগ, এমন ভুলে ভরা বই সরবরাহের পর সংশোধন করা হয় না। নতুন করে আবেদন করতে হয়।

নাটোর পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মানিক চন্দ্র দেবনাথ বাংলানিউজকে জানান, ভুলগুলো ঢাকা থেকে হয়ে এসেছে। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে জানা গেলে সংশোধনের চেষ্টা করা যেতো। এখন  সে সুযোগ পার হয়ে গেছে। এজন্য তিনি বিনয়ের সুরে বলেন, নতুন করে আবেদন করলে দ্রুত পাসপোর্টগুলো সরবরাহের চেষ্টা করবেন।

গ্রাহকদের অর্থ অপচয়ের ব্যাপারটির সুরাহা করতে  সংশ্লিষ্ট দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।     

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।