এ বিলম্ব ঢাকা থেকে নওগাঁগামী শাহ ফাহতে আলী পরিবহনের একটি বাসের।
শুক্রবার (২৪ জুন) রাত ১টায় কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে এমন চিত্রই চোখে পড়লো।
ছয় ঘণ্টা বাসের অপেক্ষায় থেকে ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, এই ধরনের শিডিউল বিপর্যয় ও ভোগান্তি কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডের আর কোনো পরিবহনে হয়নি। অন্য পরিবহনগুলোতে শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে, কিন্তু তা ছিল দুই-তিন ঘণ্টার। কিন্তু শাহ ফাহতে আলী পরিবহনের প্রতিটি বাসে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা করে দেরি হচ্ছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলছেন, পরিবহনটির বাস সংখ্যা সিমিত। কিন্তু তারা টিকেট বিক্রি করেছে আসন সংখ্যার থেকে অনেক বেশি। ফলে পরিবহনটির বাস সংখ্যার সংকট দেখা দেওয়া এই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
শাহ ফাহতে আলী পরিবহনে নওগাঁগামী যাত্রী মো. সুজন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কাউন্টারে আসার পর দেখি পাঁচ-ছয় ঘণ্টার শিডিউলের যাত্রীরা বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, বাসের তুলনায় টিকেট বেশি বিক্রি করেছে কর্তৃপক্ষ। এজন্য আমদেরও ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।
তবে যাত্রীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে শাহ ফাহতে আলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, রাস্তায় যানজট থাকায় শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই।
শাহ ফাহতে আলী পরিবহনের কল্যাণপুর কাউন্টারের কর্মকর্তা সাদিক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুসহ বিভিন্ন জায়গায় যানজট থাকায় গাড়ি ঢাকা থেকে দেরিতে রওনা হচ্ছে। যানজট ছাড়লে আর শিডিউল বিপর্যয় হবে না।
তবে অন্য বেশ কয়েকটি পরিবহন কাউন্টারের কর্মী ও এই রোডে নিয়মিত যাতায়াতকারী কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাহ ফাহতে আলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ বরাবরই ঈদ মৌসুমে পরিবহনের তুলনায় অতিরিক্ত টিকেট বিক্রি করে। ফলে প্রতিবারই যাত্রীদের এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২২২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এমএ/এসআই