এরপর ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক ধরে গাড়ি ছুটতে থাকে বগুড়ার উদ্দেশে।
রাতের আঁধারে ছুটতে থাকে ট্রাকটি।
যানজটে আটকা অসংখ্য যানের বহরে যুক্ত হয় সেই ট্রাকটিও। এখান থেকেই শুরু হয় মূল ভোগান্তির পালা। গাড়ির চাকা যেন ঘুরতেই চাচ্ছিল না। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পাড়ি দিয়ে সিরাজগঞ্জের চারমাথা গোল চত্বরে পৌঁছাতে প্রায় ছয় ঘণ্টা সময় লাগে। পরদিন শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেল ৩টায় বগুড়ায় পৌঁছান তিনি।
তাদেরই আরেকজন নূরে মিতুল বিদ্যুৎ। তিনিও ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। দুপুর ২টার দিকে গাবতলী থেকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। সেখান থেকে আড়াই ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় পৌঁছান। কিন্তু যমুনা সেতু পার হয়ে বগুড়ায় আসতে সময় লাগে সাড়ে সাত ঘণ্টা।
শুক্রবার (২৩ জুন) দিনগত রাত ১২টার দিকে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে যানজটের এমন ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন ওই দুইজনসহ ভুক্তোভোগি অনেকে।
ঘরমুখো মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক হয়ে ছুটছেন উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মানুষ। নানাজন নানাভাবে বিভিন্ন যানবাহনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
আয়শা, মর্জিনা, আহমদ আলী, নূরজাহানসহ ঘরমুখো অনেকেই বাংলানিউজকে জানান, তাদের এবারের ঈদ যাত্রাটা অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে ভিন্ন। এবার ঢাকার বিভিন্ন স্ট্যান্ড থেকে বড়-ছোট বাস ও ট্রাকে করে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন তারা।
ঢাকা থেকে বের হওয়ার পর গোটা সড়কে তেমন একটা যানজট না থাকলেও সেতুর পূর্বপাশে এসে আটকে যায় তাদের বহনকারী যানগুলো। যানজটের ভোগান্তি শুরু হয় সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে বগুড়ার শিবগঞ্জের রহবল পর্যন্ত। যার দুরুত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার।
ভুক্তোভোগিরা জানান, সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে থেমে থেমে গাড়ি আসছে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়। এতে মহাসড়কের এই ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে অনন্ত ২০টির মতো পয়েন্টে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল, ঘুগড়া বেলতলা, ভূঁইয়াগাতি, ষোলমাইল, চান্দাইকোন, সীমাবাড়ী বাজার, ধনকুন্ডি, ঘোগাব্রিজ, ছোনকা, মির্জাপুর, শেরুয়া বটতলা, ধুনটমোড়, বাসস্ট্যান্ড, কলেজরোড, নয়মাইল, আড়িয়াবাজার, বি-ব্লক, মাঝিড়া বন্দর, শাজাহানপুর, তিনমাথা, চারমাথা, মাটিডালী মোড়, মহাস্থান, চন্ডিহারা, মোকামতলা, ফাঁসিতলা অন্যতম।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এমবিএইচ/এসআই