ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কেডিএস গ্রুপের পক্ষ থেকে সুশৃঙ্খলভাবে যাকাত বিতরণ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
কেডিএস গ্রুপের পক্ষ থেকে সুশৃঙ্খলভাবে যাকাত বিতরণ কেডিএস গ্রুপের পক্ষ থেকে সুশৃঙ্খলভাবে যাকাত বিতরণ

ঢাকা: মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় ১৪ হাজার মানুষ যাকাত নিয়েছেন কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই। এতো অল্প সময়ে সুশৃঙ্খলভাবে যাকাতের শাড়ি, লুঙ্গি, জামা ও নগদ টাকা বিতরণ করেছে দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান কে ডি এস গ্রুপ। 

শুক্রবার (২৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ যাকাত বিতরণ চলে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জিরি গ্রামে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিজ বাড়িতে। বিগত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে সুশৃঙ্খলভাবে যাকাত বিতরণ।

এতে কোনো হুড়োহুড়ি নেই, নেই বিশৃঙ্খলা।  

সুদৃশ্য মোড়কে নতুন শাড়ি, লুঙ্গি, জামা ও নতুন টাকা পেতে লাইনে দাঁড়িয়ে একটি নির্দিষ্ট রঙের কয়েন জমা দিলেই চলে। জামা-কাপড়ের সঙ্গে ৩০০, ৫০০, ১০০০ ও ১৫০০ চার ভাগে বিভক্ত করে নগদ টাকা দেয়া হয়। এ কয়েনের ওপরে আবার কেডিএস গ্রুপের লোগো ও তাদের উৎপাদিত পণ্য কেওয়াইআর ঢেউটিনের বিজ্ঞাপনও রয়েছে। কাউন্টারের সামনে সাদা একটি বোর্ডে নির্দিষ্ট রঙের টোকেন সাটানো থাকে, তাতে লেখা থাকে কে কি পরিমাণ যাকাত পাবেন। এসব যাকাত কাউন্টার থেকে বিতরণ করছেন কেডিএস গ্রুপের কর্পোরেট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। লাল গেঞ্জি পড়ে স্বেচ্ছাসেকরা এলাকার বৃদ্ধ নারী-পুরুষদের পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন। শুধুই যে মুসলমানরা এ যাকাত পাচ্ছেন তা নয়। অন্যান্য ধর্মের অনেকেই যাকাত নিচ্ছেন।

এ যাকাত বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দেশের অন্যতম শিল্পপতি ও কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমান। তিনি বলেন, ভোটার তালিকা দেখেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রতি বছর যাকাত যাওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সংযোজন ও বিয়োজন হয়। কেউ মারা যান, কেউ বা বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে আসেন।  
টোকেনের বাইরে কেউই যাকাত পান না। আবার টোকেনও নকল করে যাকাত নিতে এসে ধরা পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ব্যাপারে এখন অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। চট্টগ্রামের পরিবর্তে টোকেন বানিয়ে আনা হয় ঢাকা থেকে। প্রতিটি টোকেন বানাতে খরচ পড়ে কয়েকশ’ টাকা। যা আগেই তালিকাভুক্তদের কাছে বিতরণ করা হয়।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত লোক এসে লাইন ধরেছেন। টোকেন দেয়ার সময় প্রত্যেককে বলে দেয়া হয় তাকে কখন যাকাত দেয়া হবে। অর্থাৎ কোন সময় এলে তিনি যাকাত সংগ্রহ করতে পারবেন। পঙ্গু আবদুর রহিম (৬০) এসেছেন বেবি টেক্সিতে চড়ে যাকাত নিতে। তাকে নিজ হাতে যাকাত তুলে দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি ও কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান।

প্রায় ৪৫ বছর আগে চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন খলিলুর রহমান। নিষ্ঠা, শ্রম ও আন্তরিকতা দিয়ে গড়ে তুলেছেন অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা এখন ৩০ হাজারেরও বেশি। বার্ষিক লেনদেন সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। বছরে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা দেয় তার প্রতিষ্ঠান।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।