সব বাসই প্রায় ঠিক সময়ে ছেড়ে গেলেও গরমে নাজেহাল অবস্থা যাত্রীদের। যে যেখানে জায়গা পাচ্ছেন সেখানেই বসে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।
শ্যামলী থেকে মাগুরা যাওয়ার উদ্দেশে ছোট্ট শিশু নিপুনকে নিয়ে অপেক্ষা করছেন সুরাইয়া ইসলাম। রাত ১২ টায় বাস। কিন্তু বেশি রাত হলে রাস্তার ঝুঁকির কথা চিন্তা করে খানিকটা আগেই এসেছেন গাবতলী বাস টার্মিনালে। তিনি বললেন, বেশি রাত হলেই রাস্তায় ছিনতাইসহ নানা ঝুঁকি থাকে। তাই আগে এসেছি। কিন্তু এত ভিড়ে বসার জায়গা পাচ্ছি না। তাই এই রাস্তার পাশেই বসেছি।
অন্যদিকে কারখানায় শুক্রবার বিকেলে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন অনেক শ্রমিক। বদিউল পুরান ঢাকার দর্জি কারখানার শ্রমিক। বলেন, অনেক অর্ডার ছিলো তাই মালিক আগে ছুটি দেননি। আজ বিকেলে ছুটি হইছে। তাই বন্ধু বান্ধবদের সাথে রাতেই রওনা হচ্ছি। কিন্তু আজ যে এতো ভিড় হবে তা বুঝতে পারিনি।
যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমমিশ খাচ্ছেন পরিবহন কোম্পানিগুলোও। কুষ্টিয়া এক্সপ্রেস এর টিকিট বিক্রেতা মুক্তার হোসেন বলেন, আজ যে এতোটা চাপ হবে যাত্রীদের তা আমরাও বুঝতে পারিনি। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ যাত্রীও বেশি। তবে সব গাড়িই প্রায় ঠিক সময়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
ইউএম/আরআই