ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গ্রামের মানুষ দেখলে সব কষ্ট ভুলে যাই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
গ্রামের মানুষ দেখলে সব কষ্ট ভুলে যাই পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকা গাড়ির লাইন

মানিকগঞ্জ: বাড়িতে বয়স্ক মা। দীর্ঘদিন ধরে বাবাও অসুস্থ। প্রাইভেট কোম্পানির চাকরি। তেমন একটা ছুটিও নেই। সারা রাস্তা জুড়ে ভোগান্তি। রাস্তার খরচও দ্বিগুণ। তারপর আবার পাটুরিয়া ঘাট পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা।

সবকিছু মিলে ভোগান্তির যেন শেষ নেই ঈদ যাত্রায়। তারপরও পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করার আনন্দই আলাদা।

ঈদের এই ছুটিতে বন্ধু বান্ধবসহ দেখা হয় সব আপনজনদের সাথে। গ্রামের চিরচেনা, সহজ সরল এই মানুষগুলোকে দেখলেই যেন সব কষ্ট ভুলে যাই।

শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট এলাকায় কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সদর উপজেলার জামাল উদ্দিন।

জামাল উদ্দিনের কথার সাথে তাল মিলিয়ে এক ব্যবসায়ী জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ পড়ে একসাথে। যে কারণে কিছুটা ভোগান্তি মেনে নেওয়াটাই স্বাভাবিক।

তবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রায় তেমন একটা ভোগান্তি নেই বলে মনে করেন তিনি।

দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট।

সাধারণত প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার যানবাহন পারাপার হয় ওই নৌরুটে। তবে ঈদের সময় যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় দ্বিগুণেরও বেশি।

ঈদের সময় মহাসড়কে যেমন আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগে তেমনি ভাবে পাটুরিয়া ফেরিঘাটেও ফেরির জন্য এক একটি গাড়িকে অপেক্ষা করতে হয় দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। হেঁটেই ফেরিঘাটের দিকে এগিয়ে চলেছেন ঘরে ফেরা মানুষ, ছবিটি পাটুরিয়া ঘাটের  আবার কখনো এর চেয়েও বেশি সময় অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয় যাত্রীদের।  

নিজস্ব প্রাইভেটকারে বাড়ি যাচ্ছিলেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির মুকছেদুর রহমান।  জানালেন, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ৫ নম্বর ঘাট পন্টুন এলাকার ছোট গাড়ির লাইনে রয়েছেন। কষ্ট হবে জেনেই বাড়ির উদ্দেশে ছুটে চলা। গ্রামে আপনজন বলতে তেমন কেউ নেই। পরিবারের প্রায় সবাই ঢাকায় বসবাস করেন। তারপরও ঈদ আসলে গ্রামের জন্য মন ছুটে যায়, মন্তব্য করেন তিনি।

পাটুরিয়া ফেরিঘাট ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুকতার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের অতিরিক্ত চাপে বাস ও ছোট গাড়ির দীর্ঘ লাইন হওয়ায় সাময়িকভাবে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তারপরও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ ভাল বলে জানান তিনি।

পাটুরিয়া ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, অন্যান্য সময়ের চেয়ে ঈদের আগে তিন চার গুণ যানবাহন পারাপার হয় পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে। যানবাহনের চাপ একসাথে শুরু হওয়ার কারণে নদী পারাপারে কিছুটা সময় লাগে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, মহাসড়কে শুক্রবার সারাদিন বড় ধরনের তেমন কোন দুর্ঘটনা বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে একসাথে অতিরিক্ত যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকার কারণে গাড়িগুলো কিছুটা ধীরগতিতে চলাচল করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।