উচ্চবিত্তদের ঈদের কেনাকাটা শেষের দিকে হলেও নিম্নবিত্তদের ঈদ বাজার যেন শুরু হয়েছে শুক্রবার (২৩ জুন) থেকে। শ্রমিক-মজুর, গার্মেন্টসসহ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা ঈদের বোনাস পেয়েছেন বৃহস্পতিবার (২২ জুন)।
শুক্রবার রাজাধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর-পশ্চিম গেটের সামনে, বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, পল্টন, ফার্মগেট ও চাঁদনীচকের ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা।
দুপুরে ফার্মগেট এলাকায় শরীফ নামের এক দোকানদারের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, রমজান মাসে আমাদের ব্যবসা ভালোই হয়। ঈদে নতুন জামাকাপড় কিনতে গরিব ক্রেতারা বেশি ভিড় জমায়। ছেলেমেয়েদের জন্য তারা নতুন নতুন জামা কিনবে, তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবে এটাই বড় পাওনা। তবে গত রমজানে ব্যবসা আরও ভালো ছিল।
বায়তুল মোকাররম এলাকার ফুটপাতে টুপি, জায়নামাজ, আতরসহ অন্য জিনিসের বাজারও জমে উঠেছে। তবে ঈদের আগের রাতে বাজার বেশি জমজমাট হবে বলে জানায় এখানকার বিক্রেতারা।
বেছে নিতে পারলে অনেক ভালো জামাকাপড় ফুটপাতের দোকানগুলোতে পাওয়া যায়। এখানে দাম কম। অনেক সময় একই জিনিস বড় বড় শপিংমলের দোকানগুলোতে পাওয়া যায়। তবে এবারের ফুটপাতের আসরের চেয়ে গতবারের আসর বেশি জমজমাট ছিল-বলছিলেন পল্টন এলাকায় ফুটপাত দোকানের ক্রেতা সাজু।
মিরপুরের এক গার্মেন্টসে চাকরি করেন ঝুমকা ও তার বোন প্রিয়া। অনেকক্ষণ ধরে ঘুরছেন ফার্মগেট এলাকার ফুটপাতে। এর আগে নিউমার্কেট এলাকা থেকে কিনেছেন নিজেদের জামাকাপড়। এখন বাড়িতে অপেক্ষারত বাবা-মার জন্য কিনতে চাচ্ছেন কিছু। কিন্তু দামে পোষাচ্ছে না। বাংলানিউজকে তারা বলেন, টাকা তো হিসাবের। তাই হিসাবের বাইরে খরচ করাও মানা। একটা ভালো জামা একটু বেশি দাম দিয়ে কিনছি তাই টানাটানিতে পড়ে গেছি। দেখি, না হলে খালি হাতেই ফিরতে হবে বাড়িতে।
গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলোর ইলেক্ট্রনিকস পণ্যের বাজার মন্দা বলে অভিযোগ করেন বিক্রেতারা।
তবে শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ব্যবসায় ব্যাপক মন্দা অবস্থা কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের বিক্রেতারা জানান, এবার ক্রেতাদের চাপ নেই। গত সপ্তাহে কিছুটা বিক্রি হলেও ঈদ অনুযায়ী কম। ঈদের বাজারে ছেলেদের পাঞ্জাবি ও জুতার চাহিদা আছে।
এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, মেয়েদের আইটেম যা আছে তার বেশিরভাই ভারতীয়। বাংলাদেশের মানুষ কলকাতায় যাচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা করতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এমএএম/আরআর