তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব সিটি করপোরেশনকে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বরিশাল নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনাকে ঘিরে সিসি ক্যামেরা বসানোর কার্যাদেশ দেয় করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
নাইটভিশন সুবিধাসম্পন্ন এসব সিসি ক্যামেরা প্রাথমিকভাবে বিসিসি কর্তৃপক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ করলেও অল্প সময়ের মধ্যেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এর দায়িত্বভার হস্তান্তর করার কথা ছিলো।
কিন্তু তা না হলেও চালু হওয়ার ২ মাসের মধ্যে ৮০ শতাংশ সিসি ক্যামেরার তার কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি যান্ত্রিক সমস্যাও দেখা দেয় প্রায় ১৫টি ক্যামেরায়।
বিসিসির প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ক্যামেরাগুলো সচল করতে কাজ চলছে। তবে দুর্বৃত্তরা এতো পরিমাণ তার কেটে নিয়েছে যে প্রায় সব ক্যামেরায় নতুন তার দিয়ে সংযোগ স্থাপন করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, পুরো সিস্টেমের ৮০ ভাগ তারই চুরি করে নিয়ে গেছে। এর ফলে ক্যামেরাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই ক্যামরাগুলো চালু করতে কাজ করা হচ্ছে।
আর ক্যামেরাগুলো চালুর মধ্য দিয়ে আইন-শৃ্ঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তার কার্যক্রম আবারও শুরু হবে।
নগরে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগকে শুরু থেকে স্বাগত জানানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা ছাড়াই পুলিশ নগরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে জানালেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি জানান, ক্যামেরা অচল আর সচলে নগরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর বিরুপ প্রভাব পড়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে ক্যামেরাগুলো সচল রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করা হলে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সহায়ক ভূমিকা পালন করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এমএস/আরআর