ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেষ মুহূর্তে ঝিনাইদহে জমে উঠেছে ঈদবাজার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
শেষ মুহূর্তে ঝিনাইদহে জমে উঠেছে ঈদবাজার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঝিনাইদহ: ঈদের আর দুই/তিনদিন বাকি। শেষ মুহূর্তে ঝিনাইদহে জমে উঠেছে ঈদবাজার। পরিবারের সদস্যদের জন্য পোশাক কিনতে সকাল থেকেই মার্কেটগুলোতে ভিড় করছে নানা বয়সী মানুষ। মার্কেটগুলোতে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে জমজমাট কেনাবেচা।

নামিদামি বিপনী বিতানের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতেও পুরোদমে চলছে বেচাকেনা। সাধ আর সাধ্যের সঙ্গে মিল রেখে আপনজনদের জন্য কেনাকাটা করছেন মানুষ।

তবে এ বছর দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি ভারতের পোশাকগুলো দখল করে রেখেছে ঈদের বাজার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শহরের জামান সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার, রফি টাওয়ার, মুন্সী সুপার মার্কেট, আজমিরি সুপার মার্কেট, সায়াদাতিয়া মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে তরুণ-তরুণীদের ঈদের পোশাক কেনার ধুম পড়ে গেছে। প্রচণ্ড গরম ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে নারী-পুরুষসহ সব বয়সী ক্রেতারা পছন্দের পোশাক কিনতে ছুটছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতীয় জলপরী, রাই কিশোরী, আনারকলি, আশিকি, মাসাককালি, কোয়েল, চিকনি চামেলি, বিপাশা, ডিসকো চালি, টাপুরটুপুরসহ নানা বাহারি নামের বিভিন্ন পোশাক দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। মান ভেদে এসব পোশাক দুই হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাকছেন দোকানিরা। পাশাপাশি দেশীয় তৈরি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রি হলেও তা তুলনামূলক কম।

মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঝিনাইদহের ঈদের বাজারে ভারতীয় শাড়ির দাপট অপ্রতিরোধ্য। সীমান্তবর্তী জেলা শহর হওয়ায় কিছুটা হলেও এর সহজ প্রাপ্যতা রয়েছে। গৃহিণী ও বধূরা ভারতের বিভিন্ন সিনেমা ও নায়িকার নামের শাড়ির দিকে ঝুঁকছেন বেশি। বিভিন্ন নামের পাথর আর চুমকির কারুকাজ করা গাঢ় রঙের এসব শাড়িতে বাজারের দোকানগুলো ভরে গেছে। ভারতীয় এসব শাড়ি বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২৫/৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এবারের ঈদ উপলক্ষে বাজারে নতুন এসেছে লেহেঙ্গা, ঝিলিক, জিপসি এবং স্যান্ডেলের মধ্যে এসেছে পোড়ামন, মালেকা সুন্দরি, ঝিলিক, মনপুরা, রূপসী বাংলাসহ হরেক রকমের ও ডিজাইনের জুতা স্যান্ডেল।

কেপি বসু সড়কের থ্রি পিস মেলার মালিক এম এ লিটন মোল্লা বলেন, এবার ঈদের পোশাকে দেশীয় ডিজাইনে বৈচিত্রতা থাকায় চাহিদাও বেশি। বিদেশি পোশাকের পাশাপাশি দেশি পোশাকের চাহিদাও কম নয়। আমরা দেশি-বিদেশি দু'ধরনের পোশাকই বিক্রি করছি। বিদেশি পোশাকের মধ্যে পাকিস্তানি ও কাশ্মীরি কিছু নতুন ডিজাইনের পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএদিকে, শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতেও পুরোদমে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। বঙ্গবাজার মার্কেট, কেসি কলেজের পাশের মার্কেট, ম্যাটিনিটির পাশের মার্কেট, জিন্নাহ মার্কেটসহ সবক’টি মার্কেটেই এখন উপচেপড়া ভিড়। এসব মার্কেটে নিম্ন-মধ্যবিত্ত লোকজন তাদের পছন্দমতো কেনাকাটা করছেন।

নজির উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, ছেলের জন্য পোশাক কিনতে এসেছেন। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে পছন্দ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মার্কেটগুলোতে চাঁদাবাজ আর বখাটের উৎপাত না থাকায় গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ বাংলানিউজকে জানান, ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশি টহল জোরদার করাসহ শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।