শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার ৫ নম্বর ঘাট থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ছোট গাড়ির সংখ্যা।
আলাদাভাবে থাকা যাত্রীবাহী বাসের লাইনও প্রায় দুই কিলোমিটার।
গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীসেবা পরিবহনের চালক ফিরোজ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী নামানোর জন্য ২/৩ মিনিট দেরি করলেই পেছনে প্রায় ৫০/৬০টি গাড়ি আটকে যায়। এছাড়া মহাসড়কে বড় গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে ফিটনেসবিহীন লেগুনা ও ইঞ্জিনচালিত রিকশাভ্যান। এতে জট বাড়ছে।
ওই পরিবহনটির যাত্রী রেজাউল কবির জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় পৌঁছেছি।
নৌরুটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা রয়েল পরিবহনের যাত্রী ইসমেতারা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার দুর্ভোগ নতুন নয়। এর প্রতিকার চাই।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ৫ নম্বর ঘাট পন্টুন থেকে প্রাইভেটকার চালক রেজাউল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টা থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষামাণ। দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত পার হতে পারিনি। ফেরিতে উঠতে আরও আধাঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতে পারে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুকতার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় থাকা বাসের লাইন প্রায় দুই কিলোমিটার। বাস ও ছোট গাড়ির চাপ থাকায় ভোর থেকে টার্মিনালে আটকা রয়েছে দেড় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সামছুল আলম বলেন, সকাল থেকেই ঘাট এলাকায় ছোট গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত ছোট গাড়ির লাইন ৬ কিলোমিটার এলাকায় পৌঁছে গেছে। ঘাটের ৪ ও ৫ নম্বর পন্টুন দিয়ে ছোট গাড়িগুলো পার করা হচ্ছে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখার বাণিজ্য বিভাগের প্রান্তিক সহাকারী এসএম তোহা বাংলানিউজকে বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। দুপুরের পরপরই আরও একটি বড় ফেরি বহরে যোগ হওয়ার কথা রয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকার কারণে ঘাট এলাকায় প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এএ