প্রতিটি লঞ্চের একটি নির্দিষ্ট যাত্রী ধারণ ক্ষমতা থাকলেও তা তোয়াক্কা করছেন না কর্মকর্তারা। ঢাকা থেকে বরিশাল, মাদারিপুর, পটুয়াখালি, ভান্ডারিয়া, হুলারহাট প্রতিটি রুটের লঞ্চগুলোতে ইচ্ছে মতো যাত্রী উঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আবার এ সব লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। কর্তৃপক্ষ বলছেন যখনই লঞ্চ লোড হয়ে যাবে তখনই ছাড়া হবে। ফলে তারা যতো খুশি যাত্রী নিতে পারছেন।
এছাড়া বাড়ি ফেরার তাড়া থাকায় নৌ-পুলিশের বাধা সত্ত্বেও হুড়োহুড়ি করে লঞ্চের ছাদের যাত্রী হচ্ছেন অনেকেই। আর লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের এই বাড়ি ফেরার হুড়োহুড়িকেই সুযোগ হিসেবে নিচ্ছেন বলে মনে করছেন এমাদুল নামের এক যাত্রী।
এদিকে লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায় ‘রেডসান-৫’ লঞ্চের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৫১৪ জন, ফারহান-১০ লঞ্চের ডে শিফটে ৬৩০ জন ও নাইটে ৯০৭ জন, অগ্রদূত প্লাসের ৬৪৫ জন, টিপু-১২ ৬১৪ জন। কোনো নিয়ম না মেনে টিকিট ছাড়াই এসব লঞ্চে যাত্রী উঠানো হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের কোনো হিসাব থাকছে না কর্তৃপক্ষের কাছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেডসান-৫ লঞ্চের কেরানি আল-আমীন বাংলানিউজকে বলেন, ‘যেটা লেখা আছে সেই কয়জন যাত্রী আগে উঠিক। আর আমাদের একটা আইডিয়া থাকে। যাত্রী দেখে আমরা বুঝতে পারবো আর নেওয়া যাবে কিনা’।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক জয়নাল আবেদিনের সঙ্গে এ বিষয়ে বাংলানিউজের কথা হয়।
তিনি বলেন, ‘এখন ঈদের সময় যাত্রী একটু বেশি যাবে। তা না হলে এই যাত্রীরা কিভাবে গন্তব্যে পৌঁছাবে। তবে এটা যাতে ওভারলোডিং বা ডেঞ্জারাস কিছু না হয় সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এসআইজে/জিপি