পরিবারের সাথে ঈদের ছুটি কাটাতে শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরের পর থেকে বাসস্ট্যান্ডগুলোতে বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও গাড়ির চাপ বেড়েছে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কে।
সরেজমিনে আশুলিয়ার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল, ডিইপিজেড, শ্রীপুর, জিরানিবাজার বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষায় ঘরমুখো মানুষের তুমুল ভিড়।
বাসে সিট না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নারী পুরুষসহ শিশুদের দাঁড়িয়ে ও ছাদে চড়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হতে দেখা গেছে। অনেকে দাঁড়িয়ে আছেন কাঙ্ক্ষিত বাসের অপেক্ষায়। বাস ভাড়া বেশি থাকায় অনেকে আবার মালবাহী ট্রাক, পিকআপে চড়ে স্বজনদের কাছে ফিরছেন।
তবে স্বস্তির খবর ঘরমুখো মানুষের ঢল নামলেও দুপুর পর্যন্ত নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের যানজট সৃষ্টি হয়নি। অন্যদিকে আব্দুল্লাহপুর বাইপাইল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে যানজটের বাড়ছে। জামগড়া, নরসিংহপুর, জিরাবো, আশুলিয়া বাজারে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
যানজট ও পরিবহন সংকটের ভোগান্তি থাকলেও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দে মেতে উঠতে মুখিয়ে আছেন মানুষজন। তাদের চোখে মুখে ছিল উৎসবের আমেজ।
সুমন হাওলাদার নামে এক পোশাক শ্রমিক বলেন, আজকে কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। একটা মিনিটও দেরি করেনি, গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা চলে যাচ্ছি। সেখানে পরিবারের সবাই আছে।
সদ্য জন্ম নেওয়া ছেলেকে দেখতে সুমন হাওলাদারের মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে বলেও জানান তিনি।
ফরিদা বেগম নামে এক শিক্ষিকা বলেন, পথে কিছুটা ভোগান্তি হলেও পরিবার নিয়ে বাড়িতে ফেরার আনন্দটাই অন্যরকম। তা ভাষায় বোঝানো সম্ভব না।
ট্রাকে চড়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেওয়া প্রস্তুতি নিচ্ছেন দিনমজুর তন্ময় মিয়া। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বাস ভাড়া অনেক বেশি তাছাড়া সিটও খালি নাই। তাই গাড়ির অপেক্ষা না করে ট্রাকে চড়ে বাড়ি যাচ্ছি। এতে খরচও কিছুটা কমবে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির জানান, আজকেও আশুলিয়ার অনেক পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই মানুষের চাপ বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে এবারের ঈদে মানুষ ভোগান্তি ছাড়া বাড়ি ফিরছেন। যেকোনো চাপ সামলাতে আইন-শৃঙ্গলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এমজেএফ