ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

তামাকে শুল্ক বৈষম্যে সংসদ সদস্যদের ক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
তামাকে শুল্ক বৈষম্যে সংসদ সদস্যদের ক্ষোভ

ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি ও সিগারেটে শুল্ক বৈষম্য করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য। তারা অর্থমন্ত্রীর এ প্রস্তাবনার কড়া সমালোচনাও করেন।

সংসদ সদস্যরা বলেছেন, তামাক পণ্য রাখার পক্ষে আমরা কেউ নই। কিন্তু বিড়ির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে সিগারেটকে সুবিধা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে বহুজাতিক কম্পানির পক্ষ নেওয়া।

এটা কিছুতেই হতে দেওয়া হবে না।

বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থান না করে বিড়িশিল্পকে বিদায় করা যাবে না বলেও জানান সংসদ সদস্যরা।

গত ৬ জুন বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য টিপু মুন্সি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ৫০ হাজার বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের চাপে গত কয়েক মাস ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী বলে দিয়েছেন দুই বছরের মধ্যে বিড়ি বন্ধ করে দেবেন। বড়জোর তিন বছর। কিন্তু সারা দেশে কয়েক লাখ বিড়ি শ্রমিক রয়েছে। এই শ্রমিকদের ভাগ্য কী হবে।

তিনি বলেন, আমরা চাই তামাক বন্ধ হয়ে যাক। কিন্তু এর আগে বিড়ি শ্রমিকদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।

গত ১১ জুন বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলীয় সদস্য এ কে এম ফজলুল হক বলেন, বিড়িশিল্প পুরনো একটি শিল্প। বৃহত্তর রংপুর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, যশোরে এবং আমার নির্বাচনী এলাকায় এই বিড়িশিল্প অনেক আগে থেকেই রয়েছে। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন তিন বছরের মধ্যে এটা বিদায় করবেন। আমিও এ শিল্প রাখার পক্ষপাতী নই। আমি বিড়ি শ্রমিকদের পক্ষে। বিড়ি শ্রমিকরা সাধারণ মানুষ। তাদের অন্য একটা কিছু ব্যবস্থা না করে বিড়িশিল্প যেন ধ্বংস করা না হয়।

গত ১৪ জুন বাজেট আলোচনায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. হাবিব এ মিল্লাত বলেন, তামাক পণ্যে কর বাড়ানোর পক্ষে আমি। কিন্তু বিড়িতে যেভাবে বাড়ানো হয়েছে সিগারেটে সেভাবে বাড়ানো হয়নি। কম দামি সিগারেটের ওপরও ট্যাক্স বাড়াতে হবে। গত ১৫ জুন বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বিড়িশিল্প একটি শ্রমঘন শিল্প। আমি তামাকের বিরুদ্ধে। কিন্তু বিকল্প কর্মসংস্থান না করে বিড়ি তুলে দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো উর্বর জমি লগ্নি নিয়ে তামাক চাষ করছে। এটাকে কিছু বলা হয় না। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল সব জায়গায় সিগারেট পাওয়া যায়। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

নারী সদস্য উম্মে রাজিয়া কাজল গত ১৮ জুন বাজেট আলোচনায় বলেন, মহিলা বিড়ি শ্রমিকদের অন্য কোনো কিছু কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত বিড়িশিল্পের ওপর যে ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছে তা মওকুফের প্রস্তাব করছি।

গত ২০ জুন বাজেট আলোচনায় জাতীয় পার্টির মাহজাবিন মোরশেদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়িশিল্পকে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।   বিড়ি ও সিগারেটের ওপর বৈষম্যমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
জিওয়াই/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।