ঈদ যাত্রা তাই সাগরের বক্তব্য, টেম্পুতে মাত্র ১২ সিট। তাই ভাড়া একটু বেশি।
কিন্তু ঘণ্টাখানেক ডাকাডাকি করে একটি যাত্রীও না পেয়ে আবার বাড্ডা-মোহাম্মদপুর ট্রিপ শুরু করলেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) অফিস শেষের পর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) সকালে মহাখালি বাস টার্মিনাল ও তার আশে-পাশে ঘুরে দেখা গেলো, বাসের কোনো কমতি নেই। তবে সবাই যেতে চায় ভালো কোম্পানির বাসে। তাই বিশাল লাইন টিকিট কাউন্টারে।
এনা ট্রান্সপোর্টের টিকিট বিক্রেতা রুবেল আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ রুটে আমাদের প্রায় ২শ বাস চলে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ রুটে চলে ৫৬টি বাস। ঈদের ফিরতি বাস আসতে দেরি করায় বাসের সংকট দেখা দিয়েছে।
মহাখালি টার্মিনাল থেকে অধিকাংশ যাত্রী ময়মনসিংহ রুটের বলে জানান তিনি।
কথা হয় শেফালী বেগমের সঙ্গে। সদ্যজাত সন্তান কোলে নিয়ে মহিলা কাউন্টারে দাঁড়িয়ে।
বলেন, ভালো বাসে যেতে চাই বলে কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়েছি।
রাজধানীর একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা সেলিম আহমদ বলেন, নামী বাস কোম্পানিগুলো ভাড়া বাড়ায়নি। ময়মনসিংহ যেতে ২শ ২০ টাকা নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে রাজধানীবাসী।
পুলিশ কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, এটি সহনশীল ভিড়। এরপরও এ টার্মিনালের সামনে কোনো গাড়ি দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। রাস্তার দু’পাশে রেকার রাখা আছে। নিয়মের ব্যতয় হলে লাগিয়ে দেওয়া হবে। বাসের সমস্যা নেই তাই যাত্রীরা সমস্যায় পড়বেন না।
তিনি জানান, কোনো বাসকেই টার্মিনালের মুখে ঘোরাতে দেওয়া হচ্ছে না। টার্মিনাল রয়েছে পূর্ব দিকে। বাস যাবে পশ্চিমের রাস্তা ধরে উত্তরের দিকে। তাই প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সাতরাস্তা মোড়ে ফ্লাইওভারের নিচ থেকেই সব বাস ঘুরে গন্তব্যে যাত্রা করছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সিটি করপোরেশনের তদারকি টিমকে দেখা গেছে সজাগ থাকতে।
টার্মিনালে বিভিন্ন কাউন্টারের সামনে রাখা বিশ্রামের আসন বেশকয়েকটি ফাকা পড়ে রয়েছে। বসার জন্য নেই কোনো হুড়োহুড়ি ও বচসা। সবার মধ্যে ঘরে ফেরার উত্তেজনা রয়েছে, তবে উদ্বেগ নেই। কারণ, বাস রয়েছে পর্যাপ্ত। কিন্তু যেতে চায় স্বস্তিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
কেজেড/এসএনএস