ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইচ্ছামতো ভাড়া আদায়!

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
ইচ্ছামতো ভাড়া আদায়! যাত্রীদের ক‍াছ থেতে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায়- ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: 'কি যে ভুল করেছি আগে টিকিট না কেটে। এখন বুঝতে পারছি, টাকাও বেশি যাচ্ছে কষ্টেও শেষ নেই। এক হাজার টাকা দিয়ে একবারে নরমাল গাড়ির টিকিট কাটলাম। গাড়ি কখন ছাড়বে তারও ঠিক নাই। '

রংপুরগামী রিশা পরিবহনের টিকিট কেটে এমন আফসোস করতে দেখা গেল সাইদুর রহমানকে। সাইদুরের মতো শত শত যাত্রীকে অগ্রিম টিকিট না কেটে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, নগদে টিকিট কাটতে আসা যাত্রীদের কাছে ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

হানিফ, নাবিল,সোহাগ, গ্রিন লাইন,রয়েল, ঈগল, শ্যামলী, এসআর ও হক পরিবহনসহ কয়েকটি পরিবহনের টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে এ পরিবহনগুলো মানসম্মত গাড়ি বলে পরিচিত।

এর বাইরের পরিবহনগুলো চেয়ার কোচ, সেমি চেয়ার কোচ বলে দাবি করলেও সারা পথে থেমে লোকাল যাত্রী ও সিটের বাইরে দাড়ানো যাত্রী উঠিয়ে থাকে। এ পরিবহনগুলো অগ্রিম টিকিট বিক্রি না করে যেদিন গাড়ি ছাড়বে সেদিনে বিক্রি করে থাকে। ফলে সুযোগ বুঝে যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকে।

মিজানুর রহমান পরিবার নিয়ে ঈদ করতে যাবেন কুষ্টিয়া। সময় ও টাকার অভাবে টিকিট করতে পারে নি। গাবতলী বাস টার্মিনালে আসলে লোকাল পরিবহনগুলো টানাহেঁচড়া শুরু হয়। একেক পরিবহন একেক ভাড়া চেয়ে তাকে কাউন্টারগুলোতে নিয়ে যায়।

এস কে পরিবহন নামে এক কাউন্টারে কুষ্টিয়া সদরের ভাড়া ৮০০ টাকা দাবি করে। তবে বিআরটিএর চার্ট অনুসারে ভাড়া হয় ৫৮৮ টাকা।

এই পরিবহনের আলিম নামে এক কর্মচারী জানান, আজ ভাড়া এমনেই হবে। কিচ্ছু করার আইন গেলে যান না গেলে নেই।

স্বল্প উপার্জনের যাত্রীরা পরেছে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে। অগ্রিম টিকিট বিতরণের সময় হাতে টাকা না থাকায় টিকিট কাটতে পারে নি। লোকাল গাড়ির টিকেট কেটে এখন তাদেরকেই বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। পরিবহন শ্রমিকরা ভুক্তভোগী এসব যাত্রীদের কাছে সুযোগরবুঝে ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছেন।

নীলফামারীর যাত্রী রিপন বলেন, নাবিল-হানিফের অগ্রিম টিকিট পাইনি। উপায় না পেয়ে খালেক এন্টারপ্রাইজের টিকিট কাটলাম সাড়ে নয়শ দিয়ে। নরমাল সময়ে এ গাড়ির ভাড়া সাড়ে তিনশ টাকা। যাত্রী পায় না।

ফরিদপুর, মাদারিপুর,বরিশাল, নড়াইলসহ দক্ষিণাঞ্চলগামী সৌহার্দ্য পরিবহন, বিকাশ, সাউদিয়া, দেশ, সার্বিক,সূর্যমুখীসহ বেশ কয়েক পরিবহন বিআরটিএয়ের চার্ট উপেক্ষা করে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।

এ পরিবহনগুলো ফরিদপুর যেতে ৬০০-৭৫০ টাকা ভাড়া আদায় করছেন।

বিকাশ পরিবহনের কর্মচারী মামুন বলেন, আমাদের গাড়ি তো বরিশাল যাবে। ফরিদপুরে গেলে বরিশালের ভাড়া দিতে হবে।

গাবতলী ঘুরে দেখা যায়, গাড়ি ছাড়া আগ মুর্হুতে টিকিট বিক্রি শুরু হয়, ফলে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে যাত্রীদের কাছে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হ্চ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এমসি/বিএস   

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad