শুক্রবার সব ট্রেনের ছাদেও ছিলো ভিড়। খালি ছিলো না ছাদের কোনো অংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুন) থেকে শুরু হয়েছিল ছাদ ওঠার প্রবণতা। শুক্রবারও সকালে পারাবত, সোনার বাংলা, তিস্তা, প্রভাতী, নীলসাগর মহুয়া, দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে ওঠার প্রাণান্তকর চেষ্টা দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখুন কিভাবে মানুষ ছাদে উঠছেন…
এদিকে ছাদে উঠতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। স্টেশনে ট্রলিম্যান জনপ্রতি ৩০ টাকা নিয়ে ট্রলি দিয়ে ছাদে তুলে দিচ্ছে। তবে ট্রলি ছাড়াও অনেকে ঝাঁপিয়ে ঝুলে ছাদে উঠে যাচ্ছেন। যারা পারছেন না তারা ট্রলির সাহায্য নিচ্ছেন।
অবৈধ এ দৃশ্য রেলস্টেশনে ৭ টি প্লাটফর্মের সব জায়গায় দেখা গেছে। যেখানে পাশেই রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ দায়িত্বরত।
রেলওয়ে প্রকৌশলী সূত্র বলছে, যাত্রীচাপে আর ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠার কারণে বেশ কয়েকটি ট্রেন বিমানবন্দরে ওভারলোডেড হয়ে বিকল হয়ে যেতে পারে।
এর মধ্যে বিমানবন্দরের যাত্রীচাপে চাকার লেগে লালমনি এক্সপ্রেস(কোচ ঘ ৭০৬৫) দেবে গেছে।
আবার যাত্রীচাপে ট্রেনের এয়ারব্রেক সিস্টেমেও ত্রুটি দেখা দিতে পারে। এমন একটি ঘটনাও অনেকগুলো ট্রেনের বিলম্বের ঘটনাও ঘটতে পারে-এ আশংকা নিয়ে প্রতি ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে কমলাপুর থেকে।
স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবতী জানান, ছাদে না উঠতে স্টেশনে সতর্কতাবাণী প্রচার করা হচ্ছে। তারপরও ভিড় থামানো যাচ্ছে না। সারাদিনে পৌনে এক লক্ষ মানুষ ট্রেনেই বাড়ি ফিরবেন বলে জানান ম্যানেজার।
দুপুরের দিকে রেলস্টেশনে যাত্রীসেবা পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের।
বাংলাদেশ সময় ০৭৫২ ঘন্টা, জুন ২৩, ২০১৭/আপডেট ০৮১৬
এসএ/জেএম