ঈদের প্রথম যাত্রায় তেমন একটা গাদাগাদি অবস্থা না হলেও বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যেমন বেশি ছিলো লঞ্চের সংখ্যা, তেমনি ছিলো যাত্রীর সংখ্যাও।
স্বামী ব্যাংকে চাকুরী করেন, তার ছুটি হবে শনিবারে, কিন্তু ওই সময়টায় ভিড় অনেক বেশি হওয়ায় দুই মেয়েকে নিয়ে লঞ্চযোগে বরিশালে এসেছেন গৃহিনী নাদিয়া আক্তার।
বাংলানিউজকে তিনি জানালেন, ঢাকা থেকে বরিশালে সড়কপথের চেয়ে নৌপথকেই অনেক বেশি নিরাপদ মনে করেন। পাশাপাশি নদীপথই সবচেয়ে অনুকূল মাধ্যম ঢাকা থেকে বরিশালে আসার।
তার ভাষায়, লঞ্চে ঢাকার সদরঘাট থেকে একযাত্রায় সরাসরি বরিশাল লঞ্চঘাটে এসেছি। এবার নগরের সিএন্ডবি রোডে শশুরবাড়িতে যাবো। যেখানে এবারের ঈদের ছুটি কাটানোর পুরো আয়োজন চলছে। ’
তবে লঞ্চগুলো বরিশালে এসেই যাত্রীদের মধ্যরাতে ঘাটে নামিয়ে দিচ্ছে বলে ক্ষোভ ঝাড়লেন সুন্দরবন-১০ লঞ্চের ডেকের যাত্রী সোবাহান।
তিনি বলেন, ‘এমনি সময়ে লঞ্চগুলো ভোররাতে ঘাটে এলেও যাত্রীদের নিজেদেরে ইচ্ছেতেই নামতে দেন। অনেকে নিরাপত্তার কথা ভেবে ভোরের আলো ফোটার পর লঞ্চ থেকে নামেন। কিন্তু ঈদ যাত্রায় তার বিপরীতটাই ঘটতে দেখা যায়। ’
ভোররাতে লঞ্চগুলো আসার পর যাত্রীদের নামানের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্টাফরা। এতে করে যাত্রীরা টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। বসার জায়গার সংকটে তার মতো অনেকেই দাঁড়িয়েও রয়েছেন। আবার যাদের বাসাবাড়ি কাছাকাছি তারা বাহন যোগে চলেও যাচ্ছেন।
তবে নিরাপদে বরিশালে এসে পৌঁছানোর কারণে অনেক যাত্রীই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন। হাসিমুখেই বন্দর এলাকা ত্যাগ করেছেন তারা।
ভোরে বরিশাল নদীবন্দর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকাজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি, তৎপরতা ও উপস্থিতি রয়েছে। নদীবন্দরের আশপাশের এলাকায় টহলরত পুলিশ, নৌপুলিশ ও র্যাবের গাড়িও দেখা গেছে। চলছে বন্দর এলাকায় নৌপুলিশের সচেতনতামূলক মাইকে প্রচারনা ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সক্রিয় টহল।
প্রথম দিনে বন্দরের সামনের সড়কে যানজট তেমন একটা না হলেও বাড়তি যাত্রীতে বাড়তি রিক্সা, অটোরিক্সা, মাহিন্দ্রাসহ বিভিন্ন যানবাহনের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্য করার মতো।
বাংলাদেশ সময়:০৫৩৭ ঘন্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এমএস/জেএম