ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১০ মিনিটে ১২০ মিটার ড্রেন পরিষ্কার করবে ‘সাকার মেশিন’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
১০ মিনিটে ১২০ মিটার ড্রেন পরিষ্কার করবে ‘সাকার মেশিন’ ইতালি থেকে আনা সাকার মেশিন

ঢাকা: বর্ষা মৌসুম এলে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। একটু মাঝারি মানের বৃষ্টি হলেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এই জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ ড্রেনগুলো আবর্জনায় ভর্তি থাকে।সহজে আর পানি নামতে পারে না।

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিয়ে মেয়রদের কম কথা শুনতে হয় না। তাই এবার নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ দিতে উন্নত প্রযুক্তির সাকার মেশিন আমদানি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে বংশালের সুরিটোলা এলাকায় ইতালি থেকে ১৫ টন ওজনের অত্যাধুনিক “জেট অ্যান্ড সাকার মেশিন”-এর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ড্রেনের ময়লা পানি এবং ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যাওয়া ড্রেনের আর্বজনা অপসারণ করে  উন্মুক্ত করার লক্ষ্যেই এই কার্যক্রম।

১১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জেড অ্যান্ড সাকার মেশিন নামের একটি অত্যাধুনিক যন্ত্রটি এনেছে ডিএনসিসি। উন্নত বিশ্বে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রটি ড্রেন থেকে যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা টেনে নিয়ে পানি আলাদা করে আবার ড্রেনে ছেড়ে দেবে। এ যন্ত্র মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ড্রেনের ১২০ মিটার স্থানে জমে থাকা যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। এটি ব্যবহারের সুবাদে এখন আর ড্রেন আবর্জনায় আটকে থাকার কারণে দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় পড়তে হবে না।

সুরিটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জেড অ্যান্ড সাকার মেশিনটির উদ্বোধনকালে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আর্বজনা অপসারণ করে নগরীকে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব ও বাসোপযোগী নগরীতে পরিণত করতে চাই। এর অংশ হিসেবেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হচ্ছে। এর ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে গতি আসবে। একই সাথে জলাবদ্ধতা নিরসনেও তা বিশেষভাবে সহায়ক হবে। ’

যেভাবে কাজ করবে যন্ত্রটি:

যন্ত্রটিতে ২টি চেম্বার রয়েছে। একটি ৯ টন ধারণ ক্ষমতার স্লাশ চেম্বার এবং অন্যটি ৬ টন ধারণ ক্ষমতার পানি চেম্বার। ড্রেনের আর্বজনা জেট গতিতে পানি দিয়ে আঘাত করে পরে শক্ত আবর্জনা কেটে পানিসহ স্লাশ চেম্বারে জমা করবে। এরপর শক্ত হয়ে যাওয়া আর্বজনা মেশিনে সংযোজিত ড্রিল দিয়ে গুড়া করে এয়ার ভ্যাকুয়ামের মাধ্যমে স্লাশ চেম্বারে জমা করা হবে। স্লাশ চেম্বারে পানি রিফাইনড হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানির চেম্বারে চলে যাবে। স্লাশ চেম্বার পরিপূর্ণ হয়ে গেলে মাতুয়াইলে নিয়ে গিয়ে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এভাবেই এ যন্ত্রটি কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশ সময়:০৪২৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এসএম/জেএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।