ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাসস্টেশনে শেষ কেনাকাটা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
বাসস্টেশনে শেষ কেনাকাটা বাসস্ট্যান্ডে শেষ কেনাকাটা

ঢাকা: জামা কাপড়, সেমাই চিনি সবই কেনা হয়েছে।তারপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করা হলো। তবে ‘শেষ হইয়াও হইলো না শেষ’ চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটের মোবারক আলীর। কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কিনলেন আরো অনেক কিছু। এখানে ভ্যানের ওপর থেকে দেড়শ টাকা দিয়ে দু’জোড়া প্লাস্টিকের জুতা কিনলেন। বললেন, বৃষ্টির দিনে এগুলো পড়তে ভাল হবে। এছাড়াও হকারের কাছ থেকে দুটো টি-শার্ট কিনলেন। লুচিতে মোড়ানো গরুর ‘বট’ দিয়ে বানানো রোলে সেরে নিলেন নাস্তাটাও।

মোবারকের বাস দশটায়। এখনো হাতে ঢের সময় বাকি।

এই ব্যস্ত বাসস্ট্যান্ডে বসার জায়গা নেই। তাই হেঁটেই সময় কাটাতে হয়। এর মধ্যে কোম্পানির প্রচারের জন্য ফ্রিতে ওয়েফার বিলোচ্ছেন ড্যানিশ কোম্পানির বিপণনকারীরা। বাচ্চার কথা বলে চেয়ে একটি বেশি নিলেন এবং ব্যাগে ঢোকালেন।

হাতে প্লাস্টিক-লেমিনেটিং করা শিশুতোষ বই নিয়ে ঘুরছেন একজন হকার। সেগুলো উল্টে পাল্টে দেখলেন। পাখি আর মাছের ছবিঅলা দুটো বই কিনলেন ৭০ টাকা দিয়ে। অবশ্যই এর আগে বেশ কিছুক্ষণ দাম নিয়ে তর্ক করতে হলো।

একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরি করেন মোবারক। বাংলানিউজকে তিনি বললেন, মার্কেটে কেনাকাটার সময় সবকিছু পাওয়া যায় না। যেগুলো শুধু বাসস্ট্যান্ডেই পাওয়া যায়।  

কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে শুধু বই আর টি-শার্টের দোকানই নেই। রয়েছে ফল, ইলেকট্রনিক সামগ্রী আর রকমারি জিনিসের ভ্রাম্যমান হকাররাও। রয়েছে খাবারেরও দোকানও। পেয়ারা বা আম কেটে খাওয়ানোর বিক্রেতা।  

এই হকারদের কাছে এখন অনেক ভিড়। ইলেকট্রনিক সামগ্রীর বিক্রেতা সোহেল বললেন, অনেকেই বাসে ওঠার আগে হেডফোন, পাওয়ার ব্যাংক এসব জিনিস কেনেন। নিজের জন্য যেমন, তেমনি পরিবার বন্ধুদের জন্য।  
বাংলাদেশ সময়:০১৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এমএন/জেএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad