বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বুধবার (২১ জুন) রাতে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) শিপন বড়ুয়া বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আহসানুল কবির রিপনকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকতার হোসেন বলেন, মামলার প্রধান আসামি রিপনসহ বাকিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাছেব হোসাইনের করা জনস্বার্থে রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর দ্বৈত অবকাশকালীন বেঞ্চ রুল দেয়। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও ইউপি চেয়ারম্যানকে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী মো. তাছেব হোসাইন জানান, আদালত নির্যাতিত পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দিয়েছেন। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপনকে ৩ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টায় সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গণমাধ্যমে ছবিসহ নির্যাতনের প্রতিবেদন জনস্বার্থে আদালতের নজরে এনে আইনজীবী মো. তাছেব হোসাইনের রিট মামলা করেন। আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন গ্রাম্য সালিসে নূরুলকে বাড়ি থেকে ধরে এনে প্রকাশ্যে নাকে খত দিতে বাধ্য করেন। এসময় তার নির্দেশে গ্রামপুলিশ জাহাঙ্গীর আলম ওই শ্রমিককে ১০ থেকে ১১টি বেত্রাঘাত করেন। অভিযোগকারী শহীদ ও তার স্ত্রীর পায়ে ধরে দু’দফায় ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পাননি তিনি। ঘটনার পর থেকে নির্যাতিত নূরুলের পরিবারের সদস্যরা চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
আরআর