কোনোদিন ভাবতিও পারিনি ডিসির মেহমান অবো। একসঙ্গে ইফতারি করবো।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) খুলনায় পুনর্বাসিত ভিক্ষুকদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আগে অনেকটা গর্ব নিয়ে বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন আব্দুর রহিম। আব্দুর রহিমের বাড়ি সোনাডাঙ্গা এলাকায়। আগে ভিক্ষা করতেন এখন কাঁচামালের ব্যবসা করেন।
তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, আগে ভিক্ষা করতাম তাই হগলে ঘৃণা করতো অহন করে না। ডিসি স্যার ঈদের জন্য জিনিসপত্র দিছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুশিতে ঈদ করমু।
আব্দুর রহিমের মতো ইফতার মাহফিলে আসা সবাই খুবই খুশি। তারা জানান, তারা আর ভিক্ষায় ফিরতে চান না। এখানে তাদের যে সম্মান দেওয়া হয়েছে তাতে তারা অত্যন্ত খুশি। এ জন্য তারা ডিসিকে ধন্যবাদ জানান।
পশ্চিম টুটপাড়ার পেয়ারা বেগম জানান, ভিক্ষা করার জন্য সমাজে তাদের কোনো সম্মান ছিলো না। কোনো বাড়িতে তাদের ইফতারের জন্যে ডাকা হলে বাড়ির বাইরে এক কোনেই তাদের জায়গা হতো। ডিসি সাহেবের এ ইফতারে এসে টেবিলে বসতে পেয়ে তারা বুঝতে পারলেন তাদেরও সম্মান আছে।
খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহানগরীর অফিসার্স ক্লাবে পুনর্বাসিত ব্যক্তিদের (যারা আগে ভিক্ষুক ছিলেন) নিয়ে এ ইফতারের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি রয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ। সভাপতিত্ব করছেন খুলনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আমিন উল আহসান।
উপস্থিত রয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মো. হুমায়ুন কবির, এডিসি শিক্ষা ও আইসিটি মো. গিয়াস উদ্দিন, এডিসি জেনারেল মো. জাহাঙ্গির হোসেন, এডিসি এলএ মো. মনিরুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুর-ই-আলম।
ডিসি বাংলানিউজকে বলেন, ৮ মে খুলনা জেলাকে প্রাথমিকভাবে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আগে যারা ভিক্ষা করতেন তারা বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাদের মধ্য থেকে মহানগরীর দেড়শ’জনকে ইফতারে আয়োজনে দাওয়াত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের ঈদ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
এমআরএম/এএটি