ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

২০ কোটিতে সড়ক সংস্কার, তবুও মরণফাঁদ!

উত্তম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
২০ কোটিতে সড়ক সংস্কার, তবুও মরণফাঁদ! ২০ কোটিতে সড়ক সংস্কার, তবুও মরণফাঁদ!

যশোর: যশোর থেকে চুকনগর হয়ে সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কটি মাস ছয়েক আগে সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। যশোর শহরতলীর রাজারহাট থেকে চুকনগর সড়কের মধ্যে যশোর অংশের ৩৮ কিলোমিটার প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে মহাসড়কটির সংস্কার করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। 

নতুন সংস্কারের পরে আগের তুলনায় পিচের ঢালাই প্রায় দুই ইঞ্চি উঁচু হলেও দুই ধারে মাটি না দেওয়ায় নিচু হয়ে মরণফাঁদের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এমনকি, গত ছয় মাসে পৃথক দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত এবং দু’ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের লক্কড়-ঝক্কড় ফিটনেস বিহীন বাস ঝড়ের গতিতে চলছে এই সড়কে। অধিকাংশ বাস স্ট্যান্ডগুলোতে দেরি করে সমিতির বেধে দেওয়া টাইমের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেপরোয়া গতিতে চলে। তবে রাস্তার ধারে মাটি না থাকায়, ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, থ্রি হুইলারসহ অন্যান্য যানবাহন ক্রসিং করতে গিয়ে রাস্তার নিচু জায়গায় পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা একাধিকবার মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সড়ক বিভাগের যশোর অফিসে অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি। ফলে বাধ্য হয়েই মণিরামপুরের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো আন্দোলন শুরু করেছে।

২০ কোটিতে সড়ক সংস্কার, তবুও মরণফাঁদ!মণিরপমপুরের বেগারিতলা এলাকার ষাটোর্ধ্ব আকবর আলী বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তার পাশে খানার কারণে আর সাইকেল চালানোর মতো অবস্থা নেই’। সরকার ২০ কোটি টাকা দিয়ে রাস্তা ঠিক করতে পারলো কিন্তু কয় টাকার মাটি দিতে পারলো না।
 
মণিরামপুর পৌরসভার গাংড়া গ্রামের কফিল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘সামান্য মাটির জন্য এতো সমস্যা তাও জুটছে না, মনে হচ্ছে সরকার ফকির হয়ে গেছে। ’ তবে শুনেছি সড়ক সংস্কারের বরাদ্ধের টাকার মধ্যেই মাটি দেওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু ঠিকাদার আর অফিসাররা মিলে ভাগ করে খেয়ে ফেলেছে।

তিনি বলেন, গ্রামে কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পে কাজ করার জায়গা না পেয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বররা প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে বাড়ির পুকুর কাটিয়ে নিচ্ছে শুনেছি তারা তো এইকাজ করে লাখ লাখ মানুষের উপকার করতে পারে।

যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, আমি নতুন এসে মণিরামপুরের ইউএনও’র কাছ থেকে বিষয়টি শুনে পরিদর্শন করেছি।

তবে কিছু কিছু জায়গায় মাটি আছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আপাতত বরাদ্ধ না থাকায় মাটি দেওয়া সম্ভব নই, তবে বরাদ্ধ এলে মাটি দেওয়া হবে।
 
ওই সড়কের সংস্কার কাজের শিডিউলে ঠিকাদারকে মাটি দেওয়ার কথা আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমি নতুন, পরে কাগজপত্র দেখে জানানো যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।