কোরাম পূর্ণ করার জন্য প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ আতিকুর রহমান আতিক, শহিদুজ্জামান সরকার, ইকবালুর রহিম এমপিদের ফোন করে করে অধিবেশনে আনার চেষ্টা করছেন। কোরাম পূর্ণ করতে হুইপদের গলদঘর্ম অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী সকাল ৯টা ২৫ মিনিট থেকে ঘণ্টা বাঁজতে থাকে। সংসদ নেতা আগে থেকেই বসে আছেন। নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক এমপি।
সংসদ সদস্যেদের উপস্থিতি এমনই অবস্থা প্রথম সারির ৩০টি চেয়ারের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাত্র পাঁচজন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সারির ১০টি চেয়ারের শুধুমাত্র কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু উপস্থিত ছিলেন। বাকি সাতটি চেয়ারই ছিলো ফাঁকা।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপিদের উপস্থিতি আরও করুন দশা। বিরোধী দলের চেয়ারগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। মন্ত্রীদের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১১টা পর্যন্ত ৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ঠিক ১১টার কয়েক মিনিট পরেই কোরাম পূর্ণ হয় অর্থাৎ ৬০ জনের অধিক সদস্য অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত হন। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন। শুরু হয় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা।
সংসদে কোরাম না থাকলে সাধারণত বিরোধী দলের পক্ষ থেকে হাত তুলে স্পিকারকে জানিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে বিরোধী দলের সদস্যরা নিজেরাই অনুপস্থিত। ২১ জুন (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীকে অপেক্ষা করতে হয় এমপিদের জন্য। ওইদিন ৩০ মিনিট পরে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর এমপিরাও পথ অনুসরণ করেন। বাজেট আলোচনায় এমপিদের তালিকা দীর্ঘ থাকলেও কোরাম না থাকায় দ্রুত অধিবেশন শেষ করতে বাধ্য হন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
এসএম/এসকে/জিপি