ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীতে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
রাজশাহীতে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু রাজশাহীতে ট্রেনের ফিরতি টিকিট নিতে যাত্রীদের লাইন- ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) থেকে শুরু হয়েছে ঈদ পরবর্তী ঢাকায় ফেরার অগ্রিম টিকিট বিক্রি। প্রথম দিনে যাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে ১ জুলাইয়ে টিকেট।

এই যাত্রাকেই ঈদ পরবর্তী কর্মক্ষেত্রে ফেরার যাত্রা হিসেবে ধরা হচ্ছে। পরবর্তীতে আগের নিয়মেই আগাম ১০ দিনের টিকিট কেনা যাবে।

এদিকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে মাঠে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিন্টেডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২২ জুন দেওয়া হচ্ছে ১ জুলাইয়ের টিকিট। আগামীকাল শুক্রবার (২৩ জুন) দেওয়া হবে ২ জুলাইয়ের টিকিট, ২৪ জুন দেওয়া হবে ৩ জুলাইয়ের টিকিট এবং ২৫ জুন দেওয়া হবে ৪ জুলাইয়ের টিকিট।

এরপর থেকে পর্যাক্রমে আগের নিয়মেই মিলবে ১০ দিন আগের টিকিট। টিকিট বিক্রিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। টিকিট কালোবাজারির কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক মোকাবিলা করবে এই বাহিনী। পাশাপাশি যাত্রীদের হয়রানি এড়াতেও কাজ করবে তারা। আর যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে আগে থেকেই রেল পুলিশ ও আনসার সদস্যরা কাজ করছিলো।

এখন ঈদ উপলক্ষে বিজিবি সদস্যদের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। ঈদযাত্রা ঘিরে স্টেশনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান এই রেল ককর্মকর্তা।

পশ্চিম রেলওয়ের সুপারিনটেডেন্ট জিয়াউর রহমান জানান, নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এবারই প্রথম রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়েছে। সেখানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। স্টেশনে কেউ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটালে তাৎক্ষণিক বিচার করবেন ওই ম্যাজিস্ট্রেট। ঈদযাত্রা উপলক্ষে স্টেশনে সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে।

সিসি ক্যামেরা দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। সন্দেহজনক আচরণ মনে হলে যাত্রীদের দেহ তল্লাশি করা হচ্ছে। টিকিট ছাড়া কাউকে প্লাটফরমে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে সেখানে কোনো পকেটমার ও চোর ঢুকতে পারছে না।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে রাজশাহী-ঢাকা রুটে নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি দুই জোড়া ‘ঈদ স্পেশাল’ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। যে ব্যবস্থা রয়েছে তা দিয়ে শতভাগ সেবা দিতে পারবো বলে আমি আশা করি’।

ট্রেনের সূচিতে যাতে কোনো বিপর্যয় না ঘটে, সেদিকে তারা বাড়তি নজর রাখছেন। টিকিট কালোবাজারি রোধ এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান মহাব্যবস্থাপক।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা,  জুন ২২, ২০১৭
এসএস/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।