বৃহস্পতিবার (২২ জুন) গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীদদের দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
ঢাকা -টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট হওয়ায় উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার বাস সময়মত ছাড়তে পারছে না।
মশিউর রহমানের ছুটি শুক্রবার হলেও অফিসে ম্যানেজ করে একদিন আগেই যাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে। জ্যাম এড়াতে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার আগেই যেতে চাইলেও যানজট আর শিডিউল ভোগান্তি এড়াতে পারলে না।
তিনি বলেন, বাসের টিকিট সকাল ৮টায় ছিলো। বাস নাকি এখন সাভারে রয়েছে। তার মানে বাস ঢাকায় পৌঁছাতে আরো আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে। রাস্তাও নাকি জ্যাম। ভাবছিলাম, সকালে রওনা দিলে জ্যাম পাবো না, ঠিক সময় বাস ছাড়বে। কিন্তু ভোগান্তিতে পড়তেই হলো।
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পরিবহনগুলো এখন পর্যন্ত শিডিউল বিপর্যয়ে পরেনি। কিন্তু উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনগুলো রাত থেকে ২/৩ ঘণ্টা করে শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। এতে করে সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টার বাস কখন ছাড়বে কাউন্টার কর্মকর্তরা এখনও কিছু বলতে পারছেন না।
কুড়িগ্রামগামী শ্যামলী পরিবহনের বাসের অপেক্ষায় বুলেট।
তিনি বলেন, শুনতেছি রাস্তায় মহাজ্যাম শুরু হয়েছে। গতকাল আমার এক আত্মীয় নীলফামারীতে রাত ৮টায় রওনা দিয়ে দুপুর ১টায় পৌঁছেছেন। আমার সমস্যা নানী সঙ্গে যাবেন। বয়স্ক মানুষ খুব কষ্ট পাবে।
মহসিনা নামে এক যাত্রী বিরক্তি ভাব নিয়ে বলেন, এতো কষ্টে করে কেউ বাড়ি যায়। আমার এই জ্যামের ভয়ে বাড়ি যেতে ইচ্ছা করে না। সারা রাস্তায় বাচ্চারা কষ্ট পাবে। '
নাবিল পরিবহনের ম্যানেজার সুইট বলেন, চন্দ্রার মোড়ে তীব্র যানজট। যে বাস সকাল ৭টায় ঢোকার কথা সেটা আসলো ৯টায়। এখনও তেমন শিডিউল বিপর্যয়ে কখনো পড়েনি। রাতে আসল পরিস্থিতি বোঝা যাবে। আজ যে বাসগুলো রওনা দিবে সময় মত না পৌঁছালে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়ে পড়তে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
এমসি/বিএস