বৃহস্পতিবার (২২ জুন ) সকালে রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল গাবতলী ও মাজার রোডে অবস্থিত বিভিন্ন কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, ঘরমুখো যাত্রীর প্রচন্ড ভিড়। কাউন্টারগুলো কানায় কানায় পূর্ণ।
মহাসড়কে যানজটের কারণে কয়েকদিন থেকে গাবতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গের পরিবহনগুলোর শিডিউল বিপর্যয় ছিলো। আজকেও তার ব্যতিক্রম দেখা গেলো না।
রাজশাহী, রংপুর, নওগাঁ, নীলফামারী,বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের কোনো বাস সময় মতো ঢাকা ছাড়তে পারছে না। শিডিউল বিপর্যয়ে ঘরমুখো যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেলো।
এছাড়া কাউন্টারগুলোতে পর্যাপ্ত বসার স্থান না থাকা ব্যাগ-বস্তা নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে অনেক যাত্রীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
সীমা নামে এক যাত্রী শ্যামলী কাউন্টারে বসার স্থান না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, দুই হাতের কাউন্টার বানিয়ে রেখেছে বসার জায়গা নেই। কখন বাস আসবে তার ঠিক নেই, আমরা কি রাস্তায় বসে থাকবো।
এছাড়া যারা আগে টিকিট কাটেন নি,এসব যাত্রীদের টিকিটের জন্য কাউন্টারে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। আর এই সুযোগে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা নিজেদের ইচ্ছা মত দাম হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
দিনাজপুরগামী স্বাধীন নামে এক যাত্রী বলেন, ভাই টিকিট না কেটে কি যে ভুল করেছি। এখন ডাবল দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তার উপর রাস্তায় জ্যাম কখন যে পৌঁছাবো।
দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো ফেরিঘাটের যানজট না থাকায় যথা সময়ে ছাড়তে দেখা গেল।
সাতক্ষীরাগামী এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার কাশেম বলেন,আমরা সকাল থেকে ঠিক সময়ে বাস ছাড়তে পেরেছি। তবে ফেরীঘাটে যানজট থাকলে শিডিউল বিপর্যয়ে পরতে পারে।
এদিকে উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনগুলোর শিডিউল বিপর্যয়ের কোনো ধরনের পরিবর্তন হয় নি। ৩/৪ ঘণ্টা শিডিউল বিপর্যয় নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে বাসগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
এমসি/বিএস