জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৭২৫ মেট্রিক টন, শার্শায় ২ হাজার ৮২০, অভয়নগরে ৩ হাজার ৭২৫, ঝিকরগাছায় ৬৭০, কেশবপুরে ৪৭৭, বাঘারপাড়ায় ১ হাজার ৫০৩, মনিরামপুর ১ হাজার ৮২ এবং চৌগাছায় ১ হাজার ২৯৭ মেট্রিক টনসহ ১৩ হাজার ২৯৯ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে যশোর জেলা খাদ্য বিভাগ।
নিয়মানুযায়ী ৩৪ টাকা কেজি দরে এ চাল জেলার ৩২৫ জন মিলারের কাছ থেকে সংগ্রহের কথা।
অভিযোগ রয়েছে, এসব মিলারদের মধ্যে নওয়াপাড়ার কয়েকটি অটোমিলসহ অনেকেই চাল গোডাউনজাত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন। চালের দাম বাড়িয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নিয়ামক ভূমিকা রাখছেন।
সূত্র জানায়, চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ৯৯ জন মিলার বুধবার (২১ জুন) পর্যন্ত চাল সরবরাহ করেছেন ১৫৬ মেট্রিক টন। তবে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা সময়ের মধ্যে বাকি চাল না দিতে পারলে আগামী দুই মৌসুম খাদ্য বিভাগের কালো তালিকাভুক্ত হবেন।
মিলাররা বলছেন, বাজারে মোটা চালের দাম ৩৯-৪০টাকা কেজি। সেখানে সরকার ৩৪ টাকা কেজি দাম নির্ধারণ করেছে। যা বাজার দরের চেয়ে ৫-৬ টাকা কম। ফলে ওই দামে চাল সরবরাহ করা সম্ভব নয় বলে আমরা খাদ্যমন্ত্রী, সচিব, মহাপরিচালকদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করে দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছি, কিন্তু কাজ হয়নি। তারা বলছেন, সরকারের উচিৎ ছিল চালের ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি করা।
এ বিষয়ে যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকিব সাদ সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, যেসব মিলার চুক্তিবদ্ধ হননি তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করতে এরইমধ্যে খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালকের নির্দেশনা পেয়েছি। নির্দেশনা অনুযায়ী ওই মিলারদের কাছ থেকে আগামী দুই অর্থবছর (চার মৌসুম) কোনো পণ্য ক্রয় করা হবে না। এমনকি, তাদেরকে সরকারি কোনো সুবিধা দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস