বুধবার (২১ জুন) বেলা সোয়া ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন এবং পথচারীরা হেটে যাওয়ার সময় মরদেহ দেখতে পেয়ে রূপনগন থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে দুপুরের পর রূপনগর থানা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার এবং সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এএসপি মিজানুর রহমানের ছোট ভাই মাসুম বলেন, আমার ভাই মিজানুর রহমান উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে বসবাস করেন। তিনি সেহেরি খাওয়ার পর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দু’টিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রূপনগর থানা পুলিশ বাসায় ফোন করে জানায় উত্তরার তৃতীয় প্রকল্পে পাশে একটি ঝোপে আমার ভাইয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে।
রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলম বাংলানিউজকে জানান, এএসপি মিজানুর রহমান সেহরি খেয়ে সিভিল ড্রেসে ডিউটিতে বের হয়েছিলেন। পরবর্তীতে দুপুরের পর স্থানীয় লোকজন গলায় ঝুট কাপড় পেঁচানো মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারাও সেখানে উপস্থিত হন।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোনো পেশাদার ছিনতাইকারী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
এজেডএস/এসজে/এসএইচ