ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

১৪টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স প্রদান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
১৪টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স প্রদান

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: দেশে শিল্প বিকাশ ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে কেরানীগঞ্জে বসুন্ধরা স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ ১৪টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে ৪টিকে চূড়ান্ত ও ১০টিকে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

 

বুধবার (২১ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়া বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা ইকোনমিক জোন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আবদুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আমান ইকোনমিক জোন ও গাজীপুরে কোনাবাড়ী বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল।

প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স পাওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হলো- ঢাকার কেরানীগঞ্জে বসুন্ধরা স্পেশাল ইকোনমিক জোন ও ইষ্ট-ওয়েস্ট ইকোনমিক জোন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন, নরসিংদীর পলাশে এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল, কেরানীগঞ্জ-সাভারে আরিশা বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল, ঢাকার বাড্ডায় ইউনাইটেড আইটি পার্ক সিটি লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে সোনারগাঁও ইকোনমিক জোন, ময়মনসিংহের ত্রিশালে আকিজ ইকোনমিক জোন, কুমিল্লার মেঘনায় কুমিল্লা ইকোনমিক জোন এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সিটি ইকোনমিক জোন।

একই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমাদের অনুসৃত উন্মুক্ত অর্থনীতি উপ-আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে উইন-উইন অবস্থান তৈরি করে সাফল্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আড়াই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হবে এবং জনপ্রতি মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলারে উন্নীত হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশে শিল্প বিকাশ ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যমান বিনিয়োগ পরিবেশ আরও উন্নত করার লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্পে বিভিন্ন পরিষেবা, ভূমির নিশ্চয়তা, প্রতিযোগিতামূলক প্রণোদনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদানসহ বিনিয়োগ বান্ধব আইন ও নীতিমালা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বেসরকারি খাতের উন্নয়নে আর্থিক নীতিনির্ধারণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গঠনে আমাদের সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বিদেশি বিনিয়োগ আনতে দেশে একশত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে। শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপারসের (পিডব্লিইসি) ২০১৫ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৯তম এবং ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে। যার বর্তমান অবস্থান ৩১তম।

আরও পড়ুন:
রাজধানীতে পানির সংকট নেই
নির্বাচনে না এলে শেষ ভুল করবে বিএনপি

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।