তিনি বলেছেন, সেদিন তাদের গাড়ির ধাক্কায় দু’জন পথচারী আহত হয়। এনিয়ে বাক-বিতন্ডের এক পর্যায় তারা উত্তেজিত জনতার ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেত উদ্ধত্য হয়।
বুধবার (২১ জুন) সকালে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পহাড় ধসের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থালে গিয়ে সহায়তা করেছে। বিএনপি’র ঢাকার নেতারা দূরের কথা, চট্টগ্রামের কোনো নেতাও এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে যাইনি।
তিরি বলেন, পাহাড় ধসের এক সপ্তাহ পর মির্জা ফখরুল আমার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ার ওপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের যাওয়ার কথা ছিল রাঙ্গামাটি রোড হয়ে। প্রশাসনের কাছে সেটিই জানিয়েছিল। সে অনুযায়ী পুলিশ প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল। তারা রুট পরিবর্তন করেছে। এটি পুলিশকে জানায়নি। তারা রাঙ্গামাটি রোড থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সেই রোড দিয়ে কাপ্তাই হয়ে যাচ্ছিলেন। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসাখাল নামক জায়গায় যাওয়ার পর তাদের গাড়ির ধাক্কায় দু’জন পথচারী আহত হন।
এরপর যখন সেখানে জটলা তৈরি হয়। বাক-বিতন্ডা হয় তখন জনতার ওপর দিয়ে তারা গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্ধত্য হয়। তখনই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। আমি সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনা অপ্রীতিকর অনভিপ্রেত এবং নিন্দনীয় বলেছি। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকও তাই বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই তারা যদি প্রশাসনকে জানাত তাহলে পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তা সেখানে থাকতো। পুলিশ প্রশাসন জানার পরপরই তারা সেখানে হাজির হয়। হাজির হওয়ার পর তাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে রাঙ্গামাটিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, তারা রাঙ্গামাটিতে না গিয়ে চট্টগ্রামে ফিরে যান। সেখানে গিয়ে এই ঘটনা আমাদের ওপর আওয়ামী লীগের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে। আমি আমরা সন্ত্রাসীর রাজনীতি করি না। সন্ত্রাসী রাজনীতি করে বিএনপি।
এই অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
এসএম/জিপি
** ৪৫ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৩ হাজার মেগাওয়াট
** এমপিদের জন্য অপেক্ষায়...