সময়ের আগেই প্রধানমন্ত্রী তার চেয়ারে বসেন। কিন্তু এদিন দেখা গেল একটু ব্যতিক্রম।
প্রধানমন্ত্রী তার আসনে বসে আছেন ঠিকই, কিন্তু সেই সারিতে সিনিয়র কোনো মন্ত্রী এমপিকেই দেখা যায়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর পেছনের সারিতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে। তখন মন্ত্রীদের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী তার চেয়ারে বসা ছিলেন।
এছাড়া সিনিয়র এমপিদের মধ্যে তেমন কারো দেখা যায়নি। কোরামপূর্ণ করতে খোদ ডেপুটি স্পিকারকে দেখা যায় তার নির্ধারিত চেয়ারে বসে আছেন।
সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে হুইপ আতিকুর রহমান আতিক ফোন হাতে ব্যস্ত। তার চলন দেখে মনে হচ্ছিল এমপিদের ফোনে আহ্বান করছেন দ্রুত আসার জন্য। এভাবে কোরামপূর্ণ করতে ব্যস্ত হুইপরা। এদিকে কোরাম না হওয়ায় সংসদের ঘণ্টা বাজতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১১টার সময় স্পিকার সংসদ অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর শুরু হয় প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা।
সংসদ অধিবেশন চলানোর জন্য ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকার একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে কার্যপ্রণালী বিধিতে। সেই বিধি অনুযায়ী ৬০ জন পূর্ণ না হলে কোরাম হয় না। সাধারণত কোরাম সংকট হলে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে কেউ হাত তুলে স্পিকারকে অবহিত করেন। এক্ষেত্রে বিরোধী দলের কাউকেই দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
এসএম/এসএইচ